যুক্তরাষ্ট্রের সাময়িকী টাইম’স ম্যাগাজিনের ২০২৩ সালের সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী মহাতারকা লিওনেল মেসি। ম্যাগাজিনটিতে মেসিকে নিয়ে লিখেছেন টেনিস কিংবদন্তি রজার ফেদেরার। সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অনুভূতি প্রকাশ করেছেন সুইস মহাতারকা।
গতবছর সেপ্টেম্বরে টেনিস থেকে অবসর নেয়া ২০ বারের গ্র্যান্ড স্লামজয়ী ফেদেরার মেসিকে নিয়ে লিখেছেন, ‘মেসির রেকর্ড ও যত শিরোপা আছে তা নতুন করে গণনার কোন প্রয়োজন নেই। ৩৫ বর্ষী মেসি আমার কাছে একদমই আলাদা। এর একমাত্র কারণ, এতবছর ধরে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স। যা অর্জন করা থেকে শুরু করে ধরে রাখা খুব কঠিন। তিনি জাদুকরের মতো ড্রিবল করেন। ফুটবলে তার পাসগুলো একদম শিল্পের মতো। তিনি দারুণ প্রতিভাবান ও সচেতনতায় দারুণ।’
অবসর নেয়ার পর ফেদেরার বুঝতে পেরেছেন একজন ক্রীড়াবিদ কতটা গুরুত্ববহন করেন। লিখেছেন, ‘আমি সবেমাত্র ক্যারিয়ার শেষ করেছি। এখন বুঝতে পারি ক্রীড়াবিদরা কতটা সম্মান বহন করেন। কিন্তু আমরা দৈনন্দিন জীবনে তা বুঝতে পারি না। একজন ফুটবলার হিসেবে মেসি আরও বেশি সম্মান বহন করেন। কারণ তিনি বিশ্ববিখ্যাত ক্লাব এবং খুব আবেগপ্রবণ একটি দেশর প্রতিনিধিত্ব করেন।’
মেসির কাছ থেকে এখনও অনেককিছু পাওয়ার আছে সমর্থকদের। কাতারে বিশ্বমঞ্চে মেসি শিরোপা উঁচিয়ে ধরার পর যারা ফুটবল অনুরাগী না তারাও আনন্দে ভেসেছেন বলে মনে করেন ফেদেরার। লিখেছেন, ‘আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়টি ছিল দুর্দান্ত। বুয়েন্স আয়ার্সে লক্ষ লক্ষ সমর্থকের উদযাপন ছিল দারুণ। যা সারাবিশ্ব দেখেছে। এমনকি যারা ফুটবলকে অনুসরণ করেন না, তারাও তা উপলব্ধি করেছেন।’
৩৫ বর্ষী মেসি ক্যারিয়ারে সম্ভাব্য সবকিছুই অর্জন করেছেন। এখনও মেসির কাছ থেকে বিশ্ব ফুটবল অনেককিছুই পাবে বলে মত ৪১ বর্ষী ফেদেরার। মেসিভক্ত ফেদেরার লিখেছেন, ‘ডিয়েগো ম্যারাডোনা ও গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতার খেলা দেখে বড় হয়েছি। তারা ছিলেন আমার প্রিয় খেলোয়াড়।’
‘আমি ভাগ্যবান ছিলাম তাদের দুজনের সঙ্গেই দেখা করতে পেরেছিলাম। তারা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। এখন মেসি অনুপ্রাণিত করবেন ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে। আমরা শুধু এটাই আশা করতে পারি যে, মেসির সৃজনশীলতা এবং শৈল্পিকতাকে আরও কিছুদিন উপভোগ করা। মেসি মাঠে যখন পারফর্ম করেন, তখন চোখের পলক ফেলা ঠিক হবে না। এতে করে মানুষটির কাছ থেকে মুহূর্তের মধ্যে আমরা অবিশ্বাস্য কিছু মিস করতে পারি।’