বাবাকে ভালোবাসার জন্য বিশেষ কোনো দিনের প্রয়োজন নেই। প্রতিটা মুহূর্ত, প্রতিটা দিনই বাবাকে ঘিরে। তবে প্রতি বছর জুনের তৃতীয় রবিবার পুরো বিশ্বে পালিত হয় ‘বাবা দিবস।’ দিনটি বিশেষভাবে উদযাপন করেন সন্তানেরা। বাবা দিবসে বাবাকে নিয়ে দেখে ফেলতে পারেন চমৎকার একটি সিনেমা। জেনে নিন সাতটি সিনেমা সম্পর্কে যেগুলোতে বাবার সঙ্গে সন্তানের সম্পর্কের মাধুর্য চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
বাইসাইকেল থিফ: হতাশায় নিমজ্জিত বেকার এন্টনিও রিকি। স্ত্রী ও দুই পুত্র নিয়ে তার পরিবার। একদিন হঠাৎ করে বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার লাগানোর একটি চাকরি পেয়ে যায়। কিন্তু এই কাজের জন্য প্রয়োজন একটি বাইসাইকেল। চাকরিদাতাদের কঠিন শর্ত- বাইসাইকেল জোগাড় করতে না পারলে চাকরি হবে না। অনেক কষ্টে কেনা হয় সাইকেল। সাইকেলটিকে ঘিরে বাবা ছেলের উদ্দীপনা। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত কাজের প্রথমদিনেই সাইকেলটি চুরি হয়ে যায়। এরপর শিশুপুত্র নিয়ে সে রোমের রাস্তায় রাস্তায় সাইকেল খুঁজতে শুরু করে।
দ্য রিটার্ন: বাসায় এসে হঠাৎ নিরুদ্দেশ থাকা বাবা’কে আবিষ্কার করে দুই ভাই। তাদের মা বলে তাদের বাবা এসেছে। তখন বিস্ময়ের ঘোর কাটতে চায়না তাদের। মা কেন্দ্রিক জীবনে হঠাৎ করে বাবার উপস্থিতি অন্যরকম মনে হয় তাদের কাছে। বাবা হিসেবে সহজে মানতে পারছেনা তারা, আবার বাবার সান্নিধ্য পেতেও ভালো লাগছে। বাবা এবং ছেলেদের মাঝে দূরত্ব, সময় কাটানো, কঠিন বাবার সন্তানের সঙ্গ পাওয়ার আকুতি দেখানো হয়েছে পুরো ছবি জুড়ে।
মিনারি: ১৯৮০ সালের এক অভিবাসী পরিবারকে নিয়ে ‘মিনারি’ ছবির কাহিনী। জীবনযাত্রার মান উন্নত করার জন্য তারা যুক্তরাষ্ট্রের আরকানসার একটি ফার্মে কাজ করা শুরু করে।
ফোর্ড ভার্সেস ফেরারি: ফোর্ড গাড়িগুলোকে রেসের মাঠজয় করার দায়িত্ব এসে পড়ে মোটর ইঞ্জিনিয়ার ক্যারল শেলবির কাঁধে। তার মনে পড়ে পুরনো বন্ধু, আরেক প্রাক্তন রেসার কেন মাইলসের কথা। রগচটা আর একগুঁয়ে মাইলসের মোটরগাড়ির ব্যাপারে অসামান্য জ্ঞান। কেন মাইলস প্রথমে রাজি না হলেও স্ত্রী, পুত্র ও শেলবির চাপে আবার রেসের উত্তেজনাময় জগতে ফেরেন তিনি। এই ছবিতে বাবা (ক্রিশ্চিয়ান বেল) এবং ছেলে (নোয়া জুপ)-এর সম্পর্কটা দারুণ ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
কিং রিচার্ড: রেইনাল্ডো মারকাস গ্রিন পরিচালিত এই ছবিটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি করা হয়েছে। রিচার্ড উইলিয়াম নামের এক মিউজিসিয়ানের গল্প তুলে ধরা হয়েছে ছবিতে যার দুই মেয়ে সর্বকালের সবচেয়ে অসাধারণ প্রতিভাধর দুই ক্রীড়াবিদ: ভেনাস ও সেরেনা উইলিয়ামস। মেয়েদেরকে তিনি কীভাবে ক্যালিফোর্নিয়ার রাস্তা থেকে বিশ্বমঞ্চে পৌঁছে দিয়েছেন, সেই গল্প দেখানো হবে ছবিতে।
অ্যা কোয়াইট প্লেস: সায়েন্স ফিকশন হরর ছবি অ্যা কোয়াইট প্লেস। অ্যা কোয়াইট প্লেস প্রাধান্য দিয়েছে ফ্যামিলি ডাইনামিককে। পৃথিবী যখন এলোমেলো হয়ে যায়, তখন দৃঢ় পরিবারের টিকে থাকার লড়াই দেখানো হয়। ছবিতে একজন আদর্শবান স্বামী ও দায়িত্ববান বাবার চরিত্রে দেখা গেছে জন ক্রাসিনস্কিকে। সন্তানদের জন্য চরম পর্যায়ের ত্যাগ স্বীকার করতে দেখা যায় তাকে।
দ্য ট্রি অব লাইফ: টেক্সাসের এক সাধারণ পরিবারের কাহিনী। সময় ১৯৫০-এর। পরিবারের কর্তা ও’ব্রিয়েন (ব্র্যাড পিট) কিছুটা নিয়মতান্ত্রিক। নিয়ম মেনে চলতে এবং অন্যদের নিয়ম মানাতে পছন্দ করেন। ছবির কাহিনি তার বড় সন্তান জ্যাক কে নিয়ে যার সঙ্গে ছোট বেলা থেকেই তার বাবার অনেক দূরত্ব। আর এই দূরত্ব নিয়েই ছবি।