চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

তুমব্রু সীমান্তে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেয়া হচ্ছে

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু থেকে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

আজ সকাল থেকে শুরু হওয়া এই প্রক্রিয়ার প্রথম দিন ৩৫ পরিবারের ১৮০ জন রোহিঙ্গাকে সরিয়ে আনা হয়েছে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন ট্রানজিট ক্যাম্পে।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের তথ্য মতে, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘আরসা ও আরএসও’র মধ্যে সংঘাতের জেরে শূন্যরেখার ক্যাম্প থেকে পালিয়ে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশেপাশে তাবু টাঙিয়ে আশ্রয় নেন ৫৫৮ পরিবারের মোট ২ হাজার ৯৭০ জন রোহিঙ্গা।

কক্সবাজারস্থ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, সরিয়ে আনা রোহিঙ্গাদের মধ্যে ২৩ পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ক্যাম্পে নিবন্ধিত আর ১২ পরিবার অনিবন্ধিত রয়েছে। তবে ৩৫ টি পরিবারে মোট ১৮০ জন রোহিঙ্গা থাকলেও কতজন নিবন্ধিত আর কতজন অনিবন্ধিত তার সঠিক সংখ্যা এখনও নিশ্চিত নয়।

মিজানুর রহমান বলেন, এদের কুতুপালং সংলগ্ন ট্রানজিট ক্যাম্পে রেখে আবারও যাচাই-বাছাই করা হবে। পরে যে যে ক্যাম্পে নিবন্ধিত রয়েছে ওই সব পরিবারকে স্ব স্ব ক্যাম্পে পাঠানো হবে। অনিবন্ধিত রোহিঙ্গার ব্যাপারে পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। রোববার থেকে শুরু হওয়া এ প্রক্রিয়ায় পর্যায়ক্রমে সকল রোহিঙ্গাদের তুমব্রু থেকে ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে আসা হবে।

এর আগে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট বাস্তচ্যুত হয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় আট লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। এর আগে বিভিন্ন সময়ে পালিয়ে আসাসহ অনন্ত ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া হয় কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩ টি অস্থায়ী আশ্রয় ক্যাম্পে। ওইসব ক্যাম্পের সার্বিক দেখভাল ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করছে আরআরআরসি (শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার)।

অপরদিকে তুমব্রু কোনারপাড়া শূন্যরেখায় অবস্থিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পটির দায়িত্ব পালন করছে আন্তর্জাতিক রেডক্রস ও রেডক্রিসেন্ট কমিটি (আইসিআরসি)।

গত ১৮ জানুয়ারি নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলি-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় রোহিঙ্গা হামিদ উল্লাহ নিহত এবং দুইজন আহত হয়েছেন। এসময় শূন্যরেখায় বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের বসতঘর পুড়ে যায়। এরপর তুমব্রু বাজার সংলগ্ন এলাকায় তাবু টাঙিয়ে আশ্রয় নেয় তারা।