সম্প্রতি প্রাণিজ ফ্যাট দিয়ে উড়োজাহাজের জ্বালানি তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ইউরোপ। এই ক্ষেত্রে শূকরের চর্বি হতে পারে উড়োজাহাজের অন্যতম জ্বালানি। কারণ এই প্রাণীটির শরীরে অনেক চর্বি রয়েছে, যা দিয়ে উড়োজাহাজের জন্য জ্বালানি তৈরি করা যেতে পারে৷
সংবাদ মাধ্যম ডয়েচ ভেলে জানিয়েছে, মৃত প্রাণীর চর্বি কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমন কমাতে সাহায্য করে ফ্লাইটকে আরও পরিবেশবান্ধব করবে, এমন আশা করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন উড়োজাহাজের জ্বালানির ট্যাংকে দ্রুত পশুর চর্বি নিয়ে আসতে চাচ্ছে। তবে অন্যান্য ক্ষেত্রে যেমন- কসমেটিক বা খাদ্য শিল্পে প্রাণিজ ফ্যাটের অভাব দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ফুয়েল্স ইউরোপ সংগঠনের কর্ণধার জন কুপার বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, আমরা উড়োজাহাজের জ্বালানি হিসেবে প্রাণীর চর্বি ব্যবহার করতে চাচ্ছি কারণ, কম মানের অ্যানিমাল ফ্যাট সহজেই টেকসই এভিয়েশন ফুয়েল বা ডিজেলে রূপান্তরিত করা যায়৷ এই প্রক্রিয়ার জন্য বর্তমানে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতিগুলোতে কিছু পরিবর্তন ঘটিয়ে সহজেই আমরা প্রাণীর ফ্যাট ব্যবহার করা সম্ভব।
ইউরোপের রায়ানএয়ারসহ বেশ কিছু বিমানসংস্থা প্রাণিজাত জ্বালানি যত দ্রুত সম্ভব কাজে লাগাতে চাচ্ছে৷ তবে সেই লক্ষ্যে আলাদা করে পশু জবাই করার প্রয়োজন হবে না৷ জবাইয়ের সময় সৃষ্টি হওয়া বর্জ্য থেকেই ফ্যাট বের করে নেওয়া হবে৷ উড়োজাহাজের প্রচলিত জ্বালানির মধ্যেই সেই ফ্যাট মেশানো হবে৷ একে টেকসই এভিয়েশন ফুয়েল হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।