উত্তেজনা ছড়ানো গোলবন্যার ম্যাচে বারবার হয়েছে বাঁক বদল। নির্ধারিত সময় শেষের তিন মিনিট আগেও পিছিয়ে থেকে দারুণ প্রত্যাবর্তনের সাক্ষী হয়েছে অ্যানফিল্ড। ফুলহ্যামের বিপক্ষে ৪-৩ গোলের জয়টি অলরেডদের কোচ ইয়ূর্গেন ক্লপকেও নাড়া দিয়েছে। ম্যাচ শেষে নিজের আবেগের বহিঃপ্রকাশে তাই পিছপা হননি।
রোববার রাতে ম্যাচ শেষে ক্লাবের সমর্থকদের কাছে গিয়ে কয়েকবার আনন্দে হাত মুষ্টিবদ্ধ করে শূন্যে ঘুষি মেরে জয় উদযাপন করেন। পরে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার মনে হয় না এতো সুন্দর গোলের খেলা কখনো আগে দেখেছি। আজ আমরা অবিশ্বাস্য গোল করেছি। আসলেই আমরা ভালো খেলেছিলাম।’
খেলার ৮৮ মিনিটের মাথায় ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ডের লক্ষ্যভেদে লিভারপুল নাটকীয় জয় পায়। ম্যাচ শেষে ২৫ বর্ষী রাইটব্যাক ম্যাচটিকে অবিশ্বাস্য ও আবেগে পরিপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন।
‘ব্যাপক উত্থান-পতনের ভেতর দিয়ে যাওয়া একটা খেলা ছিল। লিড পাওয়া, দুইবার খেলায় সমতায় আসার পর পিছিয়ে পড়া। পাঁচ মিনিট বাকি থাকতেই স্পষ্টতই হেরে যাওয়ার পথে ছিলাম। অতঃপর সমতায় ফিরে শেষ পর্যন্ত জয়ী হলাম।’
২-১ গোলে পিছিয়ে থাকা অলরেডরা জাপানিজ ফুটবলার ওয়াতারা এন্দোর নিশানাভেদে ৮৭ মিনিটে সমতায় ফেরে। ৮৮ মিনিটের মাথায় এন্দোর বাড়ানো বল পেয়েই ডান পায়ে বল জালে জড়িয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন আলেকজান্ডার-আর্নল্ড।
নিজের গোল প্রসঙ্গে ইংল্যান্ড জাতীয় দলের ফুটবলারের ভাষ্য, ‘আমি ভেবেছিলাম শুধু চেষ্টা করে লক্ষ্যে যাবো। নেটের পেছনে পথ খুঁজে পেয়েছিলাম। উদযাপন দেখেই বুঝতে পারবেন এটি কতটা তাৎপর্যপূর্ণ।’
১৪ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে রয়েছে লিভারপুল। দুই পয়েন্ট বেশি পেয়ে সবার উপরে ম্যানচেস্টার সিটি।
বের্ন্ড লেনো নিজেদের জালে বল জড়ালে ২০ মিনিটে এগিয়ে যায় স্বাগতিক দল। চার মিনিট বাদেই ফুলহ্যাঁমকে সমতায় ফেরান হ্যারি উইলসন। অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার ৩৮ মিনিটে বল জালে পাঠিয়ে লিভারপুলকে আবারো লিড পাইয়ে দেন। যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে কেনি টেটের গোলে স্কোরলাইন হয় ২-২।
বিরতির পর ৮০ মিনিটে ববি ডি কর্ডোভা-রিড লক্ষ্যভেদ করে ফুলহ্যামকে জয়ের আশা দেখিয়েছিলেন। তবে ৮৭ ও ৮৮ মিনিটে এন্দো এবং আলেকজান্ডার-আর্নল্ডের নিশানাভেদে দারুণ জয়ের উল্লাসে মাতে লিভারপুল।