প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪১ রানে হারের প্রতিশোধ কেবল ২৪ ঘণ্টা পরেই নিয়ে ফেলল সাউথ আফ্রিকা। তিন ম্যাচ টি-টুয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয়টিতে ৫৮ রানে জিতে সিরিজে সমতা টেনেছে প্রোটিয়ারা।
বৃহস্পতিবার কার্ডিফে হওয়া ম্যাচে টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামা সফরকারীরা রাইলি রুশোর ৫৫ বলে ৯৬ রানের অপরাজিত বিস্ফোরক ইনিংসে ভর করে ৩ উইকেটে ২০৭ রান করে। জবাবে ইংল্যান্ড ২০ বল বাকি থাকতেই ১৪৯ রানে অলআউট হয়।
খেলার শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে থাকেন ওপেনার রেজা হেনড্রিকস। দলীয় ৩৯ রানের মাথায় আউট হন কুইন্টন ডি কক। ১৫ রান করে তিনি মঈন আলীর বলে জেসন রয়ের হাতে ধরা পড়েন।
দ্বিতীয় উইকেটে ২২ গজে ঝড় তোলেন হেনড্রিকস ও রুশো। গড়ে ফেলেন ৭৩ রানের জুটি। ফিফটি তুলে নেয়া হেনড্রিকস ৩২ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৫৩ রানের ইনিংস খেলে ফাইন লেগে জনি বেয়ারস্টোর তালুবন্দি হন।
এরপর চলতে থাকে রুশো ঝড়। বুধবার ব্রিস্টলে ছয় বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেই সুবিধা করতে পারেননি। ৪ রানেই থেমেছিল তার ইনিংস। ঠিক পরের দিনই অতি বিধ্বংসী হয়ে উঠলেন।
রুশো ১০ চার ও ৫ ছক্কা হাঁকিয়ে ইংলিশ বোলারদের নাজেহাল করে ছাড়েন। সেঞ্চুরি না পাওয়া ছাড়া আর কোনো আক্ষেপ থাকার অবকাশই তার ছিল না। হেনরিক ক্লাসেন ১৯ ও ট্রিস্টান স্টাবস অপরাজিত ১২ রান করেন।
ইংল্যান্ডের হয়ে একটি করে উইকেট তুলে নেন মঈন আলী, রিচার্ড গ্লেসন ও ক্রিস জর্ডান।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নামা স্বাগতিকরাও আক্রমণাত্মকভাবেই শুরু করেছিল। ১৪ বলে এক চার ও ৩ ছক্কায় ২৯ রান করা রয় আউট হলে সেই ধারার ছন্দপতন ঘটে। আন্দিলে ফেলুকাওয়ের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে তিনি মিড অনে হেনড্রিকসের দারুণ ক্যাচে পরিণত হন।
আরেক ওপেনার বাটলার ২২ বলে করেন ২০ রান, যা পরিস্থিতির দাবি মেটাতে ব্যর্থ হয়। মঈন আলী ১৭ বলে ৩ চারে ২৯ রান করলেও ইনিংস বড় করতে না পারায় দলকে উদ্ধার করায় তা যথেষ্ট ছিল না। বেয়ারস্টো ২১ বলে ৩ চারে করেন ৩০ রান। লিয়াভ লিভিংস্টোন ১০ বলে ৩ চারে ১৮ রান করেন। বাকিরা দুই অঙ্কের ঘর ছুঁতে ব্যর্থ হন।
প্রোটিয়াদের হয়ে সবচেয়ে সফল বোলার তাবরাইজ শামসি। ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে তিনি নেন ৩ উইকেট। ফেলুকাও ছিলেন খরুচে, ৩ ওভারে দীন ৩৯ রান। তবে ৩ ইংলিশ ব্যাটারের উইকেট তুলে নেন। লুনগি এনগিডি দুটি ও একটি করে উইকেট শিকার করেন কাগিসো রাবাদা ও কেশব মহারাজ।