জনি বেয়ারস্টোর সঙ্গে ওপেনিংয়ে ১১৫ রানের জুটি গড়ে ইংল্যান্ডকে শক্ত ভিত এনে দিয়েছিলেন ডেভিড মালান। ফিফটি পাওয়া বেয়ারস্টোকে বোল্ড করে টাইগার ডেরায় খানিক স্বস্তি দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে সেই স্বস্তি কেড়ে নিয়েছেন মালান। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছেন জো রুট।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৩১.২ ওভারে ১ উইকেটে ১৯৫ রান। মালান ১০০ ও জো রুট ৪১ রানে ক্রিজে আছেন।
প্রথম ১০ ওভারে ৬১ রান তুলেছিল ইংল্যান্ড। পাঁচ বোলার হাত ঘোরালেও পাননি উইকেটের দেখা। বাধ্য হয়ে একাদশ ওভারেই ষষ্ঠ বোলার হিসেবে মেহেদী হাসান মিরাজকে আনতে হয় সাকিবকে। তাতেও হয়নি কাজের কাজ। ২০ ওভারে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের স্কোর দাঁড়ায় ১ উইকেটে ১২৮ রান।
২১ থেকে ২৬ ওভারে ইংল্যান্ড ১৯ রানের বেশি তুলতে পারেনি। রানরেট ছয়ের নিচে নেমেছিল। এরপর মালানের পাশাপাশি রুট রানের গতি আবারও বাড়িয়ে চলেছেন।
বাংলাদেশ ১৮তম ওভারে এসে প্রতিপক্ষের প্রথম উইকেটের পতন ঘটাতে পেরেছে। সাকিবের বলে ফ্লিক করতে গিয়ে লাইন মিস করেন শততম ওয়ানডে খেলতে নামা বেয়ারস্টো। ৫৯ বলে ৮ চারে ৫২ রান করে হন বোল্ড।
বাইশ গজে আগ্রাসী বেয়ারস্টো-মালান জুটি অনায়াসে রান নিতে থাকেন। মালান ৩৯ বলে খেলে পান ওয়ানডে বিশ্বকাপে নিজের প্রথম হাফ-সেঞ্চুরি। শততম ওয়ানডে খেলতে নামা বেয়ারস্টো ফিফটি পাওয়ার আগেই উদ্বোধনী জুটিতে ইংলিশরা পায় শতরানের দেখা।
এর আগে টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়ে মোস্তাফিজুর রহমানের হাতে নতুন বল তুলে দেন সাকিব আল হাসান। কাটার মাস্টারের ধারাল বলে খানিকটা দিশেহারা ছিলেন দুই ইংলিশ ওপেনার। অন্যপ্রান্ত থেকে তাসকিন আহমেদও নিজের কাজটা ঠিকঠাক করছিলেন। পেস সামলে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে টাইগারদের চাপে ফেলেন দুই ইংলিশ ওপেনার।
শুরুটা দারুণ হলেও নিজের করা তৃতীয় ও চতুর্থ ওভারে যথাক্রমে ১০ ও ১২ রান দিয়ে মোস্তাফিজ হন খরুচে। ইংল্যান্ডের পঞ্চম ওভারের প্রথম বলটি বেয়ারস্টোর কাঁধে লেগে মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসবন্দি হয়। রিভিউ নিয়ে তা নষ্ট করে সাকিবের দল।