নটিংহ্যাম টেস্টের শেষদিনে ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৭২ ওভারে ২৯৯ রান। ধীরে ব্যাট করতে থাকা ইংলিশরা ২৫.২ ওভারে ৯৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপেই পড়ে গিয়েছিল। এরপরই সবকিছু পাল্টে দেন জনি বেয়ারস্টো ও বেন স্টোকস।
অনেকটা ব্যাকফুট পরিস্থিতিতে অধিনায়ক স্টোকসকে নিয়ে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে স্বাগতিকদের অবিশ্বাস্য জয়ের নায়ক বনে যান বেয়ারস্টো। ৫০ ওভারেই জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলে ব্রেন্ডন ম্যাককালামের শিষ্যরা, ৫ উইকেট হারিয়ে। জয়ে তিন টেস্টের সিরিজ জিতে ইংল্যান্ড ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে।
৯২ বলে ১৪ চার ও ৭ ছক্কায় ১৩৬ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলে নিউজিল্যান্ডের বোলারদের হতাশ করেন বেয়ারস্টো। পাঁচ নম্বরে নেমে স্টোকসের সঙ্গে মাত্র ২০.১ ওভারে গড়েন ১৭৯ রানের জুটি। ট্রেন্ট বোল্টের বলে টম ব্লান্ডেলের গ্লাভসে ধরা পড়ার আগে কাজের কাজটা করে যান। ইংল্যান্ডের তখন জয়ের জন্য বাকি কেবল ২৭ রান। স্টোকস ৭০ বলে অপরাজিত ৭৫ রানে ম্যাচ শেষ করে আসেন।
টেস্ট ইতিহাসে ইংল্যান্ডের হয়ে দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিক এখন বেয়ারস্টো। কিউইদের বিপক্ষে ৭৭ বলে তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছেছেন। ১৯০২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৭৬ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন গিলবার্ট জেসপ। ১২০ বছর ধরে ইংলিশদের হয়ে টেস্টে জেসপ এখনো দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিক।
ম্যাচ শেষে অবিস্মরণীয় জয় নিয়ে সেরা বেয়ারস্টো বলেছেন, ‘এটা বেশ মজার ছিল। যখন যেমন মেজাজে থাকবেন, তখন আপনাকে সেটার সঙ্গেই তাল মেলাতে হবে। চা বিরতির পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ডু অর ডাই পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছিল। সুতরাং, আপনাকে সেটা করতেই হবে।’
ক্রিজে থাকা স্টোকসের তাঁতিয়ে দেয়াটা যে বেশ কাজে দিয়েছিল, বেয়ারস্টো সেটিও জানিয়ে দিয়েছেন।
‘অপর প্রান্তে থাকা বেন (স্টোকস) বলেছিল বলকে নিচে (মাটিতে) মারার কথা ভাববে না, গ্যালারিতে মারো। আজ আমাদের দিন ছিল। সত্যিই কী অসাধারণ একটা দিন।’
প্রথম ৪৮ বলে ৪৩ করা বেয়ারস্টো পরের ৪৪ বলে ১০ চার ও ৭ ছক্কা হাঁকিয়ে করেন ৯৩ রান। বেশিরভাগ শটই মাঠ সংলগ্ন ব্রিজফোর্ড রোডের পাশে শর্ট লেগ সাইডের বাউন্ডারিতে আছড়ে ফেলেন।
ম্যাচে আগে ব্যাট করা নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ৫৫৩ রান করেছিল। জবাবে ইংল্যান্ড ৫৩৯ রান করলে ১৪ রানের লিড পায় অতিথিরা। দ্বিতীয় ইনিংসে কিউইরা ২৮৪ রানে থামলে ইংল্যান্ডের সামনে ২৯৯ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায়। ৫ উইকেট হারিয়ে ২২ ওভার হাতে রেখেই যা ছুঁয়ে ফেলে স্টোকসের দল।