১৯৮৮ সালে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে একদিনে সর্বোচ্চ ২৭ উইকেট দেখেছিল লর্ডস। সেটা অবশ্য হয়নি। প্রথম দিনে খোয়া গেছে ১৭ উইকেট। নিউজিল্যান্ডকে ১৩২ রানে থামিয়ে ১১৬ রান তুলতেই ইংলিশরা হারিয়েছে ৭ ব্যাটারকে। দিন শেষে কিউইরা এখনও এগিয়ে ১৬ রানে। তবে এই ধস যে নামবে জানা ছিল কিউই পেসার কাইল জেমিসনের।
প্রথমে ব্যাট করতে আসা কিউই ব্যাটারদের গতিতে নাকানিচুবানি খাইয়ে একের পর এক উইকেট তুলেছে জেমস অ্যান্ডারসন ও অভিষিক্ত বোলার ম্যাথিউ জেমস পটস। দু’জনের শিকার ৮ উইকেট। দলের সর্বোচ্চ ৪২ রানের ইনিংস খেলে লজ্জা এড়িয়েছেন কলিন ডি গ্রান্ডহোম।
জবাবে ভালো শুরু পেয়েছিল ইংল্যান্ড। ৯২ রানে ৩ উইকেট হারানোর পরও নামে ধস। ৮ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে ৪ ব্যাটারকে। দিন শেষে শক্ত অবস্থানে রয়েছে কিউইরা।
কিউই বোলারদের মধ্যে দুটি করে উইকেট তুলেছে টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্ড ও কাইল জেমিসন। ইংলিশদের ধস নামবে জানতেন জেমিসন ম্যাচ শেষে জানিয়েছেন তা।
‘আমরা যখন বোলিং করতে গিয়েছি, তখন উইকেট আদর্শ ছিল না। কিন্তু জানতাম আমাদের খেলায় ফিরে আসার জন্য কিছু সময় হাতে আছে। আমাদের ভালো বল করতে হবে, এখানে যখন ঘটনা ঘটা শুরু হয় তখন খুব দ্রুত ঘটে। দিনের শুরুতে আমরা সেটা দেখেছি তাই জানতাম যদি ভালো জায়গায় বল রাখতে পারি তবে সুযোগ আছে। লাঞ্চ বিরতিতে আমাদের লক্ষ্য হিসেবে ১৩০ ধরে নিয়েছিলাম। সেটি আমরা করেছি। তাই আমরা যৌক্তিকভাবে শান্ত ছিলা।’