সাদা বলের ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের দুঃসময় যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা ধরে রাখার মিশনে দলটি পুরোপুরি ব্যর্থ হয়। লিগপর্বে নয় ম্যাচের ভেতর মাত্র তিনটিতে জিতে টেবিলের সপ্তম স্থানে থেকে কোনোরকমে হাতে পায় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার টিকিট।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে হেরেছে ওয়ানডে সিরিজ। পাঁচ ম্যাচ টি-টুয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুটিতে হেরে ইংলিশরা সিরিজ হারের শঙ্কায় পড়েছে। থ্রি লায়নদের সাম্প্রতিক বাজে পারফরম্যান্সের জন্য কোনো অজুহাত দাঁড় করাতে নারাজ মঈন আলী।
‘বিশ্বকাপের আগের ফর্মে যেতে এখনও কিছুটা সময় লাগবে। আমাদের দিক থেকে বিবেচনা করলে কিছু জায়গায় কাজ ঠিকঠাক করতে হবে। আমি বলতে চাচ্ছি বেন স্টোকস, জনও বেয়ারস্টো এবং মার্ক উডের দলে ফিরে আসতে হবে। যদিও বাজে পারফরম্যান্সের কোনো অজুহাত নেই। দলে থাকা সবাই ভালো খেলোয়াড়। আমাদের ছেলেরা টি-টুয়েন্টিতে বেশ কয়েকটা ম্যাচ খেলেছে।’
বিশ্বকাপ থেকে এখন পর্যন্ত ১৪টি সীমিত ওভারের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে ইংল্যান্ড। এর মধ্যে দশ ম্যাচেই হারের তিক্ত স্বাদ পেতে হয়েছে। গত আট বছরের ধারাবাহিক সাফল্যের পর তারা যে মানসম্পন্ন ক্রিকেট খেলবে বলে প্রত্যাশা রাখা হয়েছে, তা অকল্পনীয়ভাবেই এখন অনুপস্থিত। মঈন আলী সেই বাস্তবতা মেনেও নিয়েছেন।
বর্তমানে বাস্তবতায় ড্রেসিং রুমের পরিবেশে পরিবর্তন এসেছে। গত আট বছর দারুণ ছন্দে থাকা দলের জন্য যা অস্বস্তিকর। ২০১৫ সাল থেকে সাদা বলের ক্রিকেটে খেলে আসছেন মঈন। অভিজ্ঞ এ ক্রিকেটার সহ-অধিনায়ক হিসেবেও কাজ চালিয়েছেন। খারাপ সময় থেকে বের হতে ধৈর্যেরও প্রয়োজনবলেই তার মত।
‘আমি বলতে চাচ্ছি, অবশ্যই আপনাকে ধৈর্য ধরতে হবে। নতুন ছেলেদের জন্য দলে ভূমিকা খুঁজে পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। আমাদের এমন খেলোয়াড় আছে, যারা সত্যিই বুদ্ধিমান এবং উপযুক্ত। সঠিক অবস্থানে আসতে তাদের মাঝে মাঝে একটু সময় লাগে।’