ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর কথাতেই এবারের গ্রীষ্মে রিয়াল মাদ্রিদে না যেয়ে পিএসজিতে থেকে যাওয়ার কথা স্পষ্ট করেছেন কাইলিয়ান এমবাপে।
২৩ বর্ষী এমবাপে ফ্রি-ট্রান্সফারে রিয়ালে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে ছিলেন। গত মে মাসে শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে তিনি। ১২৫ মিলিয়ন ডলারে ৩ বছরের চুক্তি বাড়িয়ে প্যারিসেই থেকে যান।
নিউইয়র্ক টাইমসকে সাক্ষাৎকারে ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী তারকা বলেছেন, ‘আমার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর সঙ্গে কথা বলার বিষয়টি কখনোই ভাবিনি। ব্যাপারটা পাগলাটে ছিল।’
‘‘তিনি আমাকে বললেন, ‘আমি চাই আপনি পিএসজিতে থাকেন। আমি চাই না এখন চলে যান। আপনি দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ অবশ্যই প্রেসিডেন্ট যখন আপনাকে এমন বলেন, সেটা গুরুত্ব বহন করে।’’
আগে অবশ্য এমবাপে বলেছিলেন, আর্থিক বা অন্যান্য বিবেচনা নয় বরং পিএসজির ক্রীড়া প্রকল্পে সন্তুষ্ট হওয়ার কারণেই ক্লাবটিতে থেকে গেছেন। এবার বলেছেন, ‘আমি যেখানেই যাব, সেখানেই টাকা পাব। আমি এমন মাপেরই খেলোয়াড়।’
এতকিছুর পরও ভবিষ্যতে রিয়ালে যাওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি এমবাপে। ক্লাবটির সঙ্গে তার একটি বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে বলেও অনুভব করেন।
‘আপনি কখনোই জানেন না কী ঘটতে চলেছে। আপনি সেখানে (রিয়ালে) কখনও যাননি, তবে মনে হচ্ছে এটি আপনার বাড়ির মতো বা এরকম কিছু।’
গত জুনে সংবাদ সম্মেলনে ম্যাক্রোঁ নিজেই বলেছিলেন, বিশ্বকাপজয়ী তারকাকে প্যারিস না ছাড়ার অনুরোধ তিনি নিজে থেকেই করেছিলেন।
‘হ্যাঁ, এটা সত্যি যে কাইলিয়ান এমবাপে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে দৃঢ় সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে আমাদের কথা হয়েছিল। তাকে সম্পূর্ণ অনানুষ্ঠানিকভাবেই ফ্রান্সে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলাম। বিশ্বাস করি, একটি অনানুষ্ঠানিক এবং বন্ধুত্বপূর্ণভাবে দেশকে রক্ষা করা প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমার দায়িত্ব।’
‘আমি কখনোই কোনো ট্রান্সফারে হস্তক্ষেপ করিনি। অন্য সকল নাগরিকের মতো যখন খেলাধুলার বিষয় আসে, সবসময় একটি ভালো খেলা দেখতে চাই। একটি দলকে উৎসাহিত করতে চাই। আমার ক্ষেত্রে বিশেষ করে অলিম্পিক ডি মার্শেই।’ যোগ করেন ম্যাক্রোঁ।