প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে বাংলাদেশী প্রথম আম্পায়ার হিসেবে এলিট প্যানেলে জায়গা করে নিয়েছেন সেলিম লাকি। এর ফলে তিনি বিশ্ব হকির সব ধরনের আসরে ম্যাচ পরিচালনার যোগ্যতা অর্জন করেছেন।
এলিট প্যানেলে স্থান পাওয়ার কয়েকদিন আগে ইউরোপে ম্যাচ পরিচালনার জন্য তিনি চিঠিও পেয়েছেন। জার্মানির একটি হকি টুর্নামেন্টে আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন লাকি।
আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশনের (এফআইএইচ) স্পোর্টস ডিরেক্টর জন ওয়েট স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে লাকির এলিট প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার বিষয়টি জানানো হয়। চিঠিতে বলা হয়, ‘আমরা আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে এফআইএইচ কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে আপনাকে আউটডোর হকি আম্পায়ারদের আন্তর্জাতিক এলিট প্যানেলে অন্তর্ভূক্ত করেছে।’
গণমাধ্যমকে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় লাকি বলেন, ‘এ অর্জন শুধু আমার একার নয়। এটা গোটা দেশের, গোটা হকির অঙ্গনের অর্জন।’
হকি আম্পায়ারিংয়ের উচ্চ শিখরে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা নিয়েই সামনে এগিয়ে যেতে চান লাকি। বিশ্বকাপ এবং অলিম্পিকে ম্যাচ পরিচালনার স্বপ্নকে সত্যি করাই এখন লক্ষ্য।
আগামী ১৮-২৩ আগস্ট জার্মানিতে অনূর্ধ্ব-২১ চার জাতির টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। এতে স্পেন, ইংল্যান্ড, ভারত ও স্বাগতিক জার্মানি অংশগ্রহণ করবে। সেখানে সেলিম লাকির নিরপেক্ষ আম্পায়ার হিসেবে ম্যাচ পরিচালনার কথা রয়েছে। তবে সেখানে যেতে ফেডারেশন থেকে কোনো আর্থিক সহায়তা পাচ্ছেন না অভিজ্ঞ এই আম্পায়ার। এর ফলে নিজের চেষ্টাতেই অর্থ জোগাড় করে জার্মানিতে যাওয়ার পরিকল্পনাই তাকে করতে হচ্ছে।
২০১২ সালে লাকি আন্তর্জাতিক আম্পায়ার হন। অ্যাডভান্স প্যানেলে ২০১৭ সালে তার নাম ওঠে। খেলোয়াড়ি জীবনে দ্বিতীয় বিভাগে উদিতি ও ভিক্টোরিয়ার হয়ে খেলেছেন। প্রথম বিভাগে সাধারণ বীমার হয়ে আট বছর ও সোনালী ব্যাংকের হয়ে এক বছর খেলেন। ২০১৩ সালে ওয়ারীতে থাকা অবস্থায় তিনি অবসরে যান।
২০০৭ সালে প্রথম বিভাগের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে প্রথম বাঁশি বাজান। এএইচ কাপ, এশিয়ান গেমস ও এশিয়া কাপ ছাড়াও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আসরে লাকির আম্পায়ারিংয়ের অভিজ্ঞতা আছে। সব প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে পরবর্তী মিশনে সফল হতে মরিয়া এ আম্পায়ার।