চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

‘বাজবল’ ক্রিকেটেই প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়াতে চায় ইংল্যান্ড

সাউথ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে ইংলিশদের অতি আক্রমণাত্মক ‘বাজবল’ থিউরিতেই ঘুরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বেন স্টোকস।

লর্ডসে প্রোটিয়াদের কাছে তিন দিনেই ইনিংস ও ১২ রানের শোচনীয় পরাজয়ের পর তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে আছে স্বাগতিকরা।

টানা ৪ টেস্ট ‘বাজবল’ নামে পরিচিতি পাওয়া আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলে টানা ৪ টেস্টে জিতেছিল ইংলিশরা। লর্ডসে অবশ্য কাগিসো রাবাদার নেতৃত্বে শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকার পেস আক্রমণের বিপক্ষে এটি কোনো যাকে আসেনি। দুই ইনিংসে ইংলিশরা মাত্র ১৬৫ ও ১৪৯ রানে অলআউট হয়।

এরপরও নিজেদের কৌশল থেকে সরে আসতে নারাজ ইংল্যান্ড। এমন দৃঢ় সংকল্পের কথাই স্টোকসের কণ্ঠে ঝরেছে।

আমরা ভালো করেই জানি আমরা যখন আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী পারফরম্যান্স করি, তখন অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স করতে পারি। যেটা সবাই আগের চারটি ম্যাচে দেখেছিল।

ইংল্যান্ডের লাল বলের কোচ ব্র্যান্ডন ম্যাককালামও আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলার ধরন সবসময় কাজ করবে না বললেও এভাবেই খেলে যাওয়ার পক্ষেই অবস্থান নিয়েছেন। আগের ম্যাচে ব্যর্থতার বিষয়টির ব্যাখ্যাও তিনি দিয়েছেন।

লর্ডসে বীরত্বপূর্ব ক্রিকেটের পরিবর্তে আক্রমণের অভাব থাকাটাই ইংল্যান্ডের সমস্যা ছিল। আমরা যেভাবে খেলতে চাই, সেই সম্পর্কে পরিষ্কার মানসিকতা নিয়েই খেলতে চাই।

ইংল্যান্ডের টেস্ট দলের কোচ হয়ে দলের মাঝে আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের দর্শন ছড়িয়ে দিয়েছেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। কিউইদের সাবেক অধিনায়ক আগ্রাসী ব্যাট করে যেভাবে টেস্ট খেলছে ইংল্যান্ড, ধরনটি ‘বাজ-বল’ হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে ইংলিশ মিডিয়ার কল্যাণে।

প্রোটিয়া অধিনায়ক ডিন এলগারের অবশ্য বলেছিলেন, নতুন স্টাইলটা আকর্ষণীয় হলেও বুমেরাং হয়ে দাঁড়াতে পারে ইংলিশদের জন্য। লর্ডস টেস্টে ঠিক সেটাই হওয়ার আভাস মিলেছে।

ভারতীয় ক্রিকেটার মোহাম্মদ কাইফ প্রোটিয়াদের বোলিং আক্রমণ ও অধিনায়কের প্রশংসা করে বাজবলের সমালোচনা করে টুইট করেছিলেন।

‘সাউথ আফ্রিকা দেখিয়েছে ‘বাজবল’ বিশ্বমানের বৈচিত্র্যময় বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে কাজ করে না। এলগার একজন তীক্ষ্ণ অধিনায়ক যিনি স্মার্ট ফিল্ড সেট করতে পেরেছেন।’