বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়া ঠেকাতে ‘ডামি প্রার্থী’ রাখার সিদ্ধান্তকে দলের প্রয়োজনে ‘কৌশলগত সিদ্ধান্ত’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সোমবার শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন দিবসে ডা. মিলন চত্বরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন: দেশে নির্বাচনের পক্ষে গণজোয়ার তৈরি হয়েছে, বিক্ষিপ্ত বোমাবাজি করে এটা বন্ধ করা যাবে না। আওয়ামী লীগ নয়, অপকর্মের জন্য বিএনপিই সঙ্গী খুঁজে বেড়াচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, দলীয় কৌশলগত কারণেই দুটি আসনে প্রার্থী দেয়নি আ. লীগ। নির্বাচনী জোটের সুবিধা দেখে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এখানে অ্যাডজাস্টমেন্ট-অ্যাকোমডেশনের বিষয় আছে। সেগুলো চূড়ান্ত করবে দল।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক স্বতন্ত্র প্রার্থীর অনুমতি বিষয়ে বলেন, বিজয়ী হতে পারবে, এমন প্রার্থীদেরই মনোনয়ন দেয়া হয়েছে৷ দলীয় নেতারা চাইলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াতেই পারে৷
বিএনপির নির্বাচনে আসা বা না আসা বিষয়ে তিনি বলেন, একটা বিশেষ দল অংশ নিলেই কী নির্বাচন বৈধ হয়ে যায়? তারা এলেই কী অংশগ্রহণমূলক হয়ে যায়? ২৫-৩০ টি দল এবারের নির্বাচনে অংশ নিবে৷ বিএনপি অংশ না নিলেও, তাদের দলের কিছু নেতা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে৷ ৩০ নভেম্বরের মধ্যেই পরিস্কার হবে বিএনপি থেকে কারা কারা নির্বাচনে আসবে৷ বিএনপি নির্বাচনে জিততে পারবে না বলেই ভোট এড়াতে চাচ্ছে৷ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা থাকতে পারে কারো কারো৷
সারাবাংলায় নির্বাচন নিয়ে উৎসব শুরু হয়ে গেছে এবং পরিবেশ এখন নির্বাচনের অনুকূলে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
ডা. শামসুল আলম খান মিলন দিবসে উপলক্ষে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শহীদ চত্বরে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা জানানো হয়।
দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীদের কাছে ১৮ নভেম্বর থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে কমপক্ষে ছয়টি আসনে একজন করে মনোনয়ন ফরম কেনেন। বাকি ২৯৪টি আসনে ৩ হাজার ৩৫৬ মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে দলটি। ২৩ থেকে ২৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হয়।
গত ১৫ নভেম্বর ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। আগামী ৭ জানুয়ারি হবে ভোটগ্রহণ।
তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তি হবে ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। আর প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর। ৫ জানুয়ারি প্রচার শেষ করে ৭ জানুয়ারি ভোট।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ তাদের জোটভুক্ত ও সমমনা দলগুলো তফসিলকে স্বাগত জানালেও বিএনপি এবং তাদের জোট ও আন্দোলনের শরিক দলগুলো এই তফসিল প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
ওবায়দুল কাদেরের পুরো বক্তব্য এখানে: