বছর ঘুরে আবার দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদুল ফিতর। ঈদমানেই খুশি আর নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা। প্রতিবছরের মতো এবারও আলোচনায় কয়দিন হতে পারে এবারের ছুটি?
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ঈদের তারিখ নির্ধারিত হলেও মধ্যপ্রাচ্যের ঈদের তারিখ ও রোজার সংখ্যার দিকে নজর রাখা হয়ে থাকে। এসব বিচারে আগেভাগে শুরু হয়েছে ঈদযাত্রার প্রস্তুতি এবং বিভিন্ন দপ্তরে ছুটির হিসেবনিকেষ। ঈদের ছুটি কবে শুরু হবে, ২৯ রমজান (৯ এপ্রিল) সরকারি অফিস বন্ধ নাকি খোলা, তা নিয়ে কিছুদিন ধরে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আলোচনা চলছে।
রোববার (৩১ মার্চ) আইনশৃঙ্খলা–সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ২৯ রমজান (৯ এপ্রিল) ছুটি ঘোষণা করার সুপারিশ করেছে, এ বিষয়ে শীঘ্রই সিদ্ধান্ত হবে বলেও জানা গেছে। ৩০ রোজা হবে ধরে প্রতিবছরই ২৯ রমজান অফিস খোলা রাখা হয়ে আসছে। এবছর যাতায়াতের সুবিধার্থে একদিনের বাড়তি ছুটির সুপারিশ এসেছে।
৯ এপ্রিল যদি সরকার ছুটি ঘোষণা করে, তাহলে বিরাট এক ছুটির ফাঁদে পড়তে যাচ্ছে দেশ। পবিত্র শবে কদরের ছুটি ৭ এপ্রিল। তার আগের দুই দিন (৫ এপ্রিল ও ৬ এপ্রিল) সাপ্তাহিক ছুটি। এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে ঈদের ছুটি ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিল। ১৩ এপ্রিল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন। পরের দিন ১৪ এপ্রিল পয়লা বৈশাখ বাংলা নববর্ষের ছুটি। এ অবস্থায় সরকার ৯ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করলে এবং সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কেউ ৮ এপ্রিল ছুটি নিলেই টানা ১০ দিনের ছুটি পাবেন, অবস্থাভেদে অনেক বেসরকারি চাকরিজীবীরাও পাবেন এই সুবিধা।
আইনশৃঙ্খলা–সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে কমিটির সভাপতি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারেন, সে জন্য এ সুপারিশ করা হচ্ছে। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক আছে। সেই বৈঠকে এ কমিটির সুপারিশ যাবে।
যদিও পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারি ছুটি (চাঁদ দেখা সাপেক্ষে) আছে ১০ থেকে ১২ এপ্রিল। শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয় ঈদুল ফিতর। জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক হবে ২৯ রমজানে।