নাইজারে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে বেশকিছু নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি ৭ দিনের আলটিমেটাম দিয়েছিল ইকোনোমিক কমিউনিটি অব ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটস- ইকোয়াস। তবে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা হস্তান্তর না করায় নাইজারে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সম্ভাব্য পদক্ষেপগুলো নিয়ে সম্মেলনে আবারও আলোচনা করেছে পশ্চিম আফ্রিকার ১৫টি দেশের এই জোট। শান্তিপূর্ণভাবে সংকট নিরসনেই বেশি জোর দেওয়া হয়েছে।
গত সপ্তাহে নাইজারে সামরিক হস্তক্ষেপের পরিকল্পনা তৈরি করেছিলেন ইকোয়াস রাষ্ট্রগুলোর প্রতিরক্ষা প্রধানরা। এই পদক্ষেপের বিষয়েও আলোচনা করেন রাষ্ট্রপ্রধানরা। তবে কখন বা কোন পরিস্থিতিতে নাইজারের মধ্যে সেনা মোতায়েন হতে পারে তার কোন ইঙ্গিত দেয়া হয় নি। তবে যত দ্রুত সম্ভব একটি সামরিক বাহিনী প্রস্তুত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবু জানিয়েছেন, শেষ অবলম্বন হিসেবে সামরিক শক্তি প্রয়োগ করা হতে পারে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ার ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওয়াগনারের কাছে সহযোগিতা চেয়েছে নাইজারের সেনা সরকার। প্রতিবেশি দেশগুলোর সামরিক হস্তক্ষেপের আশঙ্কায় নাইজারের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির সেনা সরকার। বুরকিনা ফাসো ও মালির সামরিক শাসকেরা নাইজারের সেনা সরকারকে সমর্থন দিয়েছে।
গত ২৬ জুলাই নাইজারের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজোমের সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেনা অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী জেনারেল আবদোরাহমানে চিয়ানি। সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজোম ও তার পরিবারের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ। দেশটির চলমান পরিস্থিতি নিয়ে নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘসহ ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
নাইজার ছাড়াও ওই অঞ্চলের আরো তিনটি দেশে গত চার বছরে পাঁচটি সেনা অভ্যুত্থান হয়েছে। ওই অঞ্চলে পশ্চিমাদের প্রতি বিদ্বেষ থেকে এসব সেনা অভ্যুত্থানের সূচনা ঘটছে। বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, এই সেনা অভ্যুত্থানকে কাজে লাগাতে চাইছে রাশিয়া, তুরস্ক ও চীন।