আফগানিস্তানে বিধ্বংসী ভূমিকম্পের পর উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সাহায্য চেয়েছে তালেবান সরকার।
বিবিসি জানায়, দেশটিতে ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত ১ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত এবং প্রায় দেড় হাজার আহত হয়েছে। ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে আছে আরও অসংখ্য মানুষ।
আফগানিস্তান একটি মানবিক ও অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে রয়েছে জানিয়ে তালেবানের সিনিয়র কর্মকর্তা আব্দুল কাহার বলখি বলেছেন, সরকার আর্থিকভাবে জনগণকে প্রয়োজনীয় পরিমাণে সহায়তা করতে অক্ষম।
তিনি আরও বলেন, এইড এজেন্সি, প্রতিবেশী দেশ এবং বিশ্ব শক্তিগুলি সাহায্য করছে। কিন্তু সহায়তার পরিমাণ আরও বাড়ানো দরকার কারণ এমন বিধ্বংসী ভূমিকম্প কয়েক দশক ধরে দেখা যায়নি।
ভূমিকম্পে দেশটির দক্ষিণ-পূর্বের পাকতিকা প্রদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। জাতিসংঘ জরুরি আশ্রয় ও খাদ্য সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে।
জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, সংস্থাটি দুর্যোগ মোকাবেলায় পুরোপুরি সক্রিয় রয়েছে। জাতিসংঘের কর্মকর্তারা বলেছেন, স্বাস্থ্য সহায়তা দল, চিকিৎসা সরঞ্জাম, খাদ্য এবং জরুরি আশ্রয়কেন্দ্র সুবিধা নিয়ে ভূমিকম্প অঞ্চলের পথে রওনা হয়েছে প্রতিনিধিরা।
ভারী বর্ষণ ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জপমের অভাবে উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে।
জীবিত ও উদ্ধারকারীরা বিবিসিকে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের কাছে সম্পূর্ণ ধ্বংসপ্রাপ্ত গ্রাম, বিধ্বস্ত রাস্তা এবং মোবাইল ফোন টাওয়ারের কথা জানিয়েছেন মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে তাদের আশঙ্কা।
বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই দশকের মধ্যে দেশটিতে আঘাত হানা সবচেয়ে মারাত্মক ভূমিকম্প মোকাবেলা তালেবানদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আফগানিস্তানে পশ্চিমা-সমর্থিত সরকারের পতনের পর গতবছর তালেবান ক্ষমতা গ্রহণ করে।
ভূমিকম্পটি খোস্ত শহর থেকে প্রায় ৪৪ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানে এবং শক্তিশালী কম্পন পাকিস্তান ও ভারত পর্যন্ত অনুভূত হয়েছিল।