ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনার অন্যতম পরিকল্পনাকারী চালক সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গোপন তথ্য ও গোয়েন্দা কার্যক্রমের ভিত্তিতে শুক্রবার সোহেল রানাকে ৮৭ লাখ ৫০ হাজার টাকাসহ সাভার হেমায়েতপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে নকল চাবি ও একটা নোয়া গাড়ি উদ্ধার করা হয়। এনিয়ে মোট ১২ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। আর উদ্ধার হয়েছে ৭ কোটি ৮৯ লাখ ৬ হাজার টাকা।
শনিবার ১৮ মার্চ দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, ডাচ বাংলা ব্যাংকের টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনার পরিকল্পনায় ছিলেন তিনজন। এদের একজন সোহেল রানা। যিনি একসময় ডাচ বাংলা ব্যাংকের টাকা বহনকারী মানি প্ল্যান্ট লিঙ্ক প্রাইভেট লিমিটেডের ড্রাইভার হিসেবে কাজ করতেন।
হারুন বলেন: গাড়িচালক থাকার কারণে সে কোম্পানির টাকা আনা-নেওয়ার খুঁটিনাটি বিষয়াদি সম্পর্কে অবগত ছিলেন। গাড়িচালক থাকাকালীন সময় সে লুটকরা গাড়ির নকল চাবিও বানিয়েছিল। তার কাছ থেকে মানি প্ল্যান্ট লিংক প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির একটি আইডি কার্ড ও উদ্ধার করা হয়।

ডিবি প্রধান আরও বলেন, ঘটনার দিন ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার হলেও কোনো গ্রেপ্তার নেই। ১১ মার্চ ২ কোটি ৫৩ লাখ ৯৯ হাজার টাকা উদ্ধার ও ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে ১৪ মার্চ ৫৮ লাখ ৭ হাজার টাকাসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। সর্বশেষ গতকাল শুক্রবার ১৭ মার্চ ৮৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ২০ লাখ টাকা মূল্যের মাইক্রোবাসসহ সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আরেক মূল পরিকল্পনাকারী আকাশকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ৯ মার্চ ঘটনার দিন সে ২০ লাখ টাকা দিয়ে একটি নোয়া মাইক্রোবাস কেনে। পরে ডিবি মিরপুর জোনাল টিম রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে মাইক্রোবাসটি উদ্ধার করে।
মানি প্ল্যান্ট লিংক প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির দাবি অনুযায়ী, সোয়া ১১ কোটি টাকা লুট হয়। এর মধ্য থেকে উদ্ধার হয়েছে ৭ কোটি ৮৯ লাখ ৬ হাজার টাকা এবং একটি মাইক্রোবাস। এর আগে গ্রেপ্তার আকাশ লুটের টাকা থেকে ২০ লাখ টাকায় মাইক্রোবাস কিনে বলে ডিবিকে জানিয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার ৯ মার্চ সকালে তুরাগ থানাধীন দিয়াবাড়ী ১১ নম্বর সড়কে ডাচ বাংলা ব্যাংকের টাকা বহনকারী মানি প্ল্যান্ট লিঙ্ক প্রাইভেট লিমিটেডের গাড়ি থেকে ১১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এর মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানেই ৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।