ওয়েস্ট ইন্ডিজ নারী দলের অলরাউন্ডার ডিয়েন্দ্রা ডটিন আকস্মিক অবসরে গেলেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার কারণে বলেছেন দলের ‘পরিবেশ উপযুক্ত না’ থাকার কথা। সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এখন থেকে কেবল ঘরোয়া ও বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে খেলবেন।
২০১০ সালে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩৮ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন ডটিন। মেয়েদের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে টি-টুয়েন্টিতে দ্রুততম সেঞ্চুরির সেই রেকর্ড এখনও অক্ষত। ডটিন এখন বার্মিংহামে কমনওয়েলথ গেমসে বার্বাডোজের প্রতিনিধিত্ব করছেন।
বিশ্বের অন্যান্য লিগে খেলা চালিয়ে যাওয়ার কথা জানালেও ৩১ বর্ষী তারকা ৩০ আগস্ট থেকে শুরু হতে চলা সিপিএলে খেলার বিষয়টি পরিষ্কার করেননি। কারণ টুর্নামেন্টটি ক্রিকেট উইন্ডিজের পৃষ্ঠপোষকতায় হবে। অবশ্য যুক্তরাজ্যে দ্য হান্ড্রেডের দ্বিতীয় মৌসুমে ম্যানচেস্টার অরিজিনালসের হয়ে খেলবেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অবসরের কথা জানিয়েছেন ডটিন। লিখেছেন, ‘আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ারে অনেক বাধা ছিল, যা আমাকে অতিক্রম করতে হয়েছে। বর্তমানে দলের পরিবেশ ও পরিস্থিতি আমার উন্নতি এবং আবেগকে জাগ্রত করার মতো অনুকূলে নেই।’
‘আমাকে দেয়া সুযোগের জন্য আমি কৃতজ্ঞ। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্তের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করেছি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলা এবং এই অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করা সম্মানের বিষয়। ১৪ বছরের খেলোয়াড়ি জীবনে নিজেকে নিংড়ে দিয়ে অনুশীলন করেছি। একজন খেলোয়াড় হিসেবে শারীরিক, মানসিক এবং আবেগের বৃদ্ধির সংমিশ্রণই আমাকে সত্যিকারের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো প্রতিফলিত করতে সাহায্য করেছে।’
‘অনেক দুঃখ সঙ্গী করেও কোনো আফসোস ছাড়াই বলছি, বুঝতে পারছি আর দলগত সংস্কৃতি এবং দলের পরিবেশ মেনে চলতে পারছি না। কারণ এটি আমার দুর্দান্ত পারফর্ম করার ক্ষমতাকে ক্ষুণ্ণ করেছে।’
২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখা ডটিন ওয়েস্ট ইন্ডিজ নারী দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন। ১৪৩ ওয়ানডেতে ৩০.৫৪ গড়ে করেছেন ৩,৭২৭ রান। ১২৪ টি-টুয়েন্টিতে ২৫.৯৩ গড়ে করেছেন ২,৫৯৭ রান।
বল হাতে ডটিন ওয়ানডেতে ৭২টি এবং টি-টুয়েন্টিতে ৬২ উইকেট নিয়েছেন। ইনজুরি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তার বোলিংয়ের ধার কমিয়ে দিয়েছিল। বলের পেস কমিয়ে পার্ট টাইম বোলার হিসেবে ভূমিকা রেখেছেন শেষদিকে।
এবছর হওয়া মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী খেলায় নিউজিল্যান্ডের শেষ ওভারে বল হাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে রোমাঞ্চকর জয় পাইয়ে দিয়েছিলেন ডটিন। নিউজিল্যান্ডের দরকার ছিল ৬ রান, হাতে ছিল ৩ উইকেট। মাত্র ২ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে ক্যারিবীয়দের দারুণ জয়ের আনন্দে ভাসিয়েছিলেন।