মৌসুমে টানা তিন ড্রয়ের পর এবার পেল হারের তিক্ত স্বাদ, বুন্দেসলিগায় গেল ২০ বছরে এমন শুরু পায়নি বায়ার্ন মিউনিখ। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দল শীর্ষস্থান খুঁইয়ে নেমে গেছে টেবিলের চার নম্বরে। থেমে গেছে টানা ৮৭ ম্যাচে গোল করার রেকর্ড যাত্রাও। এসব থেকে পরিত্রাণ চান কোচ জুলিয়ান নাগেলসম্যান। হার মেনে নিতে পারছেন না স্তম্ভিত টমাস মুলার।
লা লিগায় উড়তে থাকা বার্সেলোনাকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে হারিয়ে দিয়েছিল বায়ার্ন মিউনিখ। জার্মান ফিরে ফের ধুঁকেছে বায়ার্ন। বুন্দেসলিগায় ইউরোপা লিগে খেলা আউক্সবুর্কের কাছে ১-০ গোলে হেরে হয়েছে অঘটনের শিকার। জার্মান জায়ান্ট দলের এমন হার নিয়েই এখন আলোচনা।
একের পর এক হতাশাজনক পারফরম্যান্সে চিন্তিত বায়ার্ন কোচ নাগেলসম্যান আঙুল তুলছেন স্ট্রাইকার ঘাটতির দিকে। দিয়েছেন পরিবর্তনের আভাস, ‘সাম্প্রতিক নেতিবাচক ধারণা পোষণ ভালো নয়। অনেক কিছু পরিবর্তন করতে হবে। আমি ভেবে দেখব, এরপর এখান থেকে পরিস্থিতি কীভাবে এগিয়ে যায় তা নিয়ে ভাবব। সবকিছু নিয়ে ভাবতে হবে, নিজেকে, পরিস্থিতি, সবকিছু সম্পর্কে।’
ভালো খেললেও গোল করতে না পাওয়ার হতাশায় ভুগছেন জার্মান মিডফিল্ডার টমাস মুলার। ৬৮ শতাংশ বল দখলে রেখে ১৮টি শট নিয়েছিল বায়ার্ন। কিন্তু প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক এবং দুর্ভাগ্য মুলারদের এনে দিয়েছে হার। টানা তিন ড্রয়ের পর হার স্বভাবতই চিন্তার ভাজ ফেলছে চ্যাম্পিয়ন দলের।
ম্যাচ শেষে মুলার বলেছেন, ‘আমি বাকরুদ্ধ। এই ম্যাচটি হারার ছিল না। অনেক সুযোগ তৈরি করেছিলাম। কিন্তু শেষটা ভালো করতে পারিনি।’ স্ট্রাইকার নিয়েও কথা বলেছেন জার্মান এ তারকা। তার মতে, নিজেদের দল নিয়েই কাজ চালিয়ে যেতে চান, নাম্বার নাইনের দোহাই না দিয়ে।
বুন্দেসলিগায় ৭ ম্যাচে তিনটি করে জয় ও ড্রয়ে বায়ার্ন সংগ্রহ করেছে ১২ পয়েন্ট। আউক্সবুর্কের বিপক্ষে জিতলে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে যেত বায়ার্ন। অঘটনের রাতের পর বাভারিয়ানরা নেমেছে টেবিলের চার নম্বরে। ১৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড, এক পয়েন্ট কমে দুইয়ে ইউনিয়ন বার্লিন।