সভা-সমাবেশ বা মিছিল নিষিদ্ধের ক্ষেত্রে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের ক্ষমতা সংক্রান্ত বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জের রিট শুনানি শেষ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো.মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো.ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশত জন্য আগামী রোববার দিন ধার্য করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল মোমেন চৌধুরী। আর রাষ্ট্র পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
গত ২০ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুল মোমেন চৌধুরী, কে এম জাবির, চাঁদুপরের আইনজীবী সেলিম আকবর, রাজধানীর বাসিন্দা শাহ নুরুজ্জামান ও মোহাম্মদ ইয়াসিন জনস্বার্থে রিট করেন। রিটে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অ্যর্ডিন্যান্স ১৯৭৬ এর সেকশন ২৯ ও ১০৫ এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (সভা,সমাবেশ,মিছিল এবং আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ) রুলস-২০০৬ এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। সেকশন ২৯ সংবিধানের ৩৭ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক উল্লেখ করে রিটকারি আইনজীবী আদালতকে বলেন, ‘এটি মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।’
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অ্যর্ডিন্যান্স ১৯৭৬ এর সেকশন ২৯ এ বলা হয়েছে, ‘জনসাধারণের শান্তি বা নিরাপত্তা রক্ষার জন্য পুলিশ কমিশনার যখনই প্রয়োজন মনে করবেন এবং যতদিনের প্রয়োজন বিবেচনা করবেন লিখিত আদেশ দ্বারা কোনো জনসমাবেশ বা মিছিল নিষিদ্ধ করতে পারবেন। তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ কোনো নিষেধাজ্ঞা সরকারের অনুমতি ব্যতীত ত্রিশ দিনের বেশি বলবৎ থাকবে না।’
আর সেকশন ১০৫ এ বলা হয়েছে, ‘এই অধ্যাদেশের কোনো বিধান অথবা আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইন বা তদুদ্দেশ্যে প্রণীত কোনো বিধি, প্রবিধান আদেশ বা নির্দেশের অধীন সরল বিশ্বাসে কৃত কোনো কাজ বা ক্ষতির জন্য কোনো পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোনো কারর্যধারা গ্রহণ করা যাবে না।’
অন্যদিকে সংবিধানের ৩৭ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘জনশৃঙ্খলা বা জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধা নিষেধ-সাপেক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে ও নিরস্ত্র অবস্থায় সমবেত হইবার এবং জনসভা ও শোভাযাত্রায় যোগদান করিবার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকিবে।’