যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ইসরায়েলকে গাজার বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য আরও বেশি কিছু করতে হবে এবং চলমান যুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের অবশ্যই ঘরে ফিরতে হবে।
আল জাজিরা জানিয়েছে, গতকাল (৭ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় রোববার কাতারের রাজধানী দোহায় ব্লিঙ্কেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানির সাথে একটি বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকরা শর্ত সাপেক্ষে তাড়াতাড়ি দেশে ফিরতে পারবেন। গাজা ছেড়ে যেতে তাদের চাপ দেওয়া যাবে না।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন গাজার বাসিন্দাদের ব্যাপকভাবে বাস্তুচ্যুত করার আহ্বান জানিয়ে ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের আহ্বানের বিরোধিতাও করেন। তিনি বলেন, ইসরায়েল যখন হামলার তীব্রতা কমাবে তখন গাজার বাস্তুচ্যুত বেসামরিক নাগরিকদের দেশে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দিতে জাতিসংঘ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি বেসামরিকদের গাজা ছাড়ার জন্য চাপ দেওয়া উচিত নয়।
ব্লিঙ্কেন এসময় শীর্ষ আল জাজিরার গাজা ব্যুরো প্রধান এবং সাংবাদিক ওয়ায়েল দাহদুহের ছেলে সাংবাদিক হামজা দাহদুহকে গতকাল হত্যা করার ঘটনার তীব্র নিন্দা করে এটিকে ‘অকল্পনীয় ট্র্যাজেডি’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, হামজা যে ভয়াবহতা অনুভব করেছে তা আমি কল্পনাও করতে পারি না।
তিনি আরও বলেন, এই কারণেই আমরা প্রয়োজনের ওপর চাপ দিচ্ছি। শুধুমাত্র মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করার জন্য নয়, বরং সংঘাতের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য। হামাসকে লক্ষ্যবস্তু করার এবং তারা যাতে আর হামলা চালাতে না পারে তা নিশ্চিত করার অধিকার ইসরায়েলের রয়েছে, তবে বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করা অত্যাবশ্যক।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের হামাসের হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। ইসরায়েলি বাহিনীর তিন মাসের অভিযানে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, ইসরায়েলি বাহিনীর গত ৩ মাসের অভিযানে বাস্তুহারা হয়েছেন অন্তত ২৩ লাখ ফিলিস্তিনি।