চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

দুবাই-আবুধাবিতে কর্মরতদের জন্য জেল-জরিমানার কঠিন নিয়ম

সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মরত যেকোনো শ্রমিক-কর্মচারি-কর্মকর্তা তাদের নিয়োগকর্তার যেকোনো গোপনীয় তথ্য প্রকাশ করলে কোনরকম নোটিশ ছাড়াই তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত হতে পারে। এছাড়াও কর্মক্ষেত্রের গোপনীয়তা প্রকাশ করলে তাদের অন্তত এক বছরের কারাদণ্ড এবং কমপক্ষে ২০,০০০ দিরহাম জরিমানাও হতে পারে।

গালাদারি অ্যাসোসিয়েটস অ্যান্ড লিগ্যাল কনসালটেন্টস এর অংশীদার রাকা রায়ের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে আরব ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস

আইটি সিস্টেমের মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রের গোপনীয়তা প্রকাশ করার জন্য সাইবার অপরাধ আইনের অধীনে অন্তত ছয় মাসের জেল অথবা কমপক্ষে ২০ হাজার থেকে ১০ লাখ দিরহাম পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।

রাকা রায় বলেন, কর্মকর্তাদের চাকরি চলাকালীন তাদের নিয়োগকর্তার সাথে যুক্ত যেকোনো আসল বা অনুলিপিকৃত নথি বা তথ্য রাখা নিষিদ্ধ। এছাড়াও অবশ্যই চাকুরি শেষে তাদের নিয়োগকর্তার কাছে যেকোনও কাজ-সম্পর্কিত তথ্য এবং নথি ফেরত দিতে হবে।

সিভিল লেনদেন আইন অনুযায়ী, নিয়োগকর্তারা তাদের কর্মসংস্থান চুক্তির অধীনে গোপনীয়তা লঙ্ঘনকারী কর্মচারীর বিরুদ্ধে দেওয়ানি মামলা দায়ের করার অধিকার রাখে। এই মামলা কর্মচারীর চাকরির মেয়াদের সময় বা তাদের চুক্তি শেষ হওয়ার এক বছরের মধ্যে করা যাবে। তবে কোন কর্মচারী নিয়োগকর্তার ট্রেড সিক্রেট প্রকাশ করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কোন সময়সীমা নেই।

অনিচ্ছাকৃত ভাবে তথ্য প্রকাশ করলেও কোম্পানিগুলির ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি হয়ে গেলে তারা কর্মকর্তাদের আদালতে নিয়ে যায়।

এই বিষয়ে রাকা রায় পরামর্শ দিয়ে বলেন, ফার্মগুলিকে তাদের কর্মসংস্থান চুক্তির শুরুতেই একটি গোপনীয়তা ধারা অন্তর্ভুক্ত করা উচিৎ, যেখানে কর্মচারীদের সচেতন করা হবে যে তাদের অবশ্যই কর্মক্ষেত্রের তথ্য এবং বাণিজ্যের গোপনীয়তা বজায় রাখতে হবে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইনে গোপন তথ্যের নির্দিষ্ট কোনও সংজ্ঞা নেই। কর্মচারীর কর্মসংস্থানের সময় তাদের কাজের সাথে সম্পর্কিত তথ্য, সেইসাথে তাদের কর্মক্ষেত্রে তাদের অ্যাক্সেস আছে এমন তথ্যই গোপনীয় বলে বিবেচিত হয়। কোন তথ্য গোপনীয়তার বাধ্যবাধকতার অধীন কিনা তা নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে, নিয়োগকর্তাকে সেই তথ্যের মালিকানা প্রমাণ করার দায়িত্ব নিতে হবে।