‘স্টার কিড’ হিসেবে পরিচিত দীঘি। শিশুশিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র চলচ্চিত্র অর্জন করেছিলেন। কিন্তু বড় হওয়ার পর হেটার্স সংখ্যাও বেড়েছে বলে মনে করেন দীঘি। তিনি বলেন, ছোটবেলায় হেটার্স ছিল না। বড় হয়েছি বলে হেটার্স থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তবে আমি ভুল ধরিয়ে দিলে শুধরে নেই।
শনিবার সন্ধ্যায় মিরপুরের সনি সিনেপ্লেক্সে ঈদে মুক্তি পাওয়া ছবি ‘পরাণ’ দেখতে এসেছিলেন দীঘি। ছবি দেখার পর চ্যানেল আই অনলাইনকে দীঘি বলেন, শিশুকালে অত বুঝে শুনে অভিনয় করি নাই। তখন ভালমন্দ বোঝার মতো জ্ঞানও ছিল না। যা বলতো সেভাবেই করতাম। এখন বড় হয়েছি, দায়িত্ব বেড়েছে। একটা কাজ করলে সেটা পারফেক্ট না হওয়া পর্যন্ত বারবার করতে থাকি। তছাড়া বাচ্চাদের তো কোনো সমালোচনা হয় না।
নায়িকা হিসেবে দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর ‘তুমি আছো তুমি নেই’ করেছিলেন দীঘি। ওই ছবির মাধ্যমে সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি। তবে দ্বিতিয়বার আর এমন ভুল করবেন না স্পষ্ট জানিয়েছিলেন দীঘি। তিনি বলেন, সর্বশেষ শেষ ‘শেষ চিঠি’ নামে একটি ওয়েব ফিল্মের মাধ্যমে সবাই আমাকে পছন্দ করেছেন। নিশ্চয়ই দর্শক বুঝেছেন এখন আমি কিভাবে কী চিন্তা করে সামানে আগাচ্ছি। আমাকে ভুল ধরিয়ে দিলে সামনে ভালো করতে পারব।
দীঘিকে নিয়মিত পাওয়া যায় ভিডিও প্ল্যাটফর্ম টিকটকে। অনেকেই মনে করেন, টিকটকে ভিডিও করার কারণে দীঘির ইমেজ নষ্ট হচ্ছে! সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও দীঘিকে মেনশন করে এ নিয়ে প্রায়ই লেখালিখি দেখা যায়। কেউ কেউ দীঘির টিকটক নিয়ে ট্রল করে থাকে।
এসব বিষয় খেয়াল করেছেন দীঘি। তিনি বলেন, টিকটক আমি একা করি না। নায়িকাদের মধ্যে অনেকেই করে। আমি জানি না তাদের কেন এই প্রশ্ন করা হয় না। টিকটক করছেন দেখে আপনার ইমেজ খারাপ হতে পারে বা কথা হচ্ছে, কথাটা আমাকে নিয়ে বেশি হয়। সবসময় টিকটক করার সময় পাই না। হাতে এত অঢেল সময় থাকে না যে টিকটক করার জন্য রেডি হব। যখন আমরা ফ্রি থাকি, একটা কাজ করছি তখন ১৫ সেকেন্ড করা যায়।
টিকটক থেকে ধীরে ধীরে সরে আসছেন জানিয়ে দীঘি বলেন, যারা আমাকে ফলো করে তারা জানে আমার হাতে আসলে ওই সময়টা নেই। পড়াশোনা, এসব কাজ নিয়ে আসলে সময় এতটাও পাওয়া যায় না। আমি যেহেতু জিনিসটা সময় দিতে পারছি না, জিনিসটা থেকে বের হয়ে আসছি।
তবে দীঘি জানিয়েছেন টিকটকে সবাই তাকে ভালোবাসেন। স্বীকার করেছেন এই অ্যাপের জন্য ফলোয়ারও বেড়েছে তার। দীঘি বলছিলেন, ‘টিকটকে আমার জনপ্রিয়তা বেড়েছে না কমেছে, আমি জানি না। টিকটকে আমাকে মানুষ অনেক সাপোর্ট দিয়েছে, পছন্দ করেছে; যার জন্য এক সময় ঘন ঘন বা অনবরত করা হতো… আমার ফলোয়ার এ জন্যই বেড়েছে। কিন্তু সবাই আমাকে ভালোবাসে।’
রায়হান রাফী পরিচালিত পরাণ ছবি দেখে দীঘি তার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, বাংলা সিনেমার টিকেট পাওয়া যাচ্ছে না এটা সত্যি অনেক আনন্দের। বিশেষ করে পরাণের সঙ্গে আরো দুটি ইংলিশ ছবি চলছে। সেগুলোর চেয়ে পরাণ বেশি দেখছে এটা একজন দেশিয় শিল্পী হিসেবে আমার কাছে ভীষণ শান্তির। তাছাড়া সবখানে হাউজফুল যাচ্ছে এটা শুনে খুশি হচ্ছি। ‘পরাণ’র স্ক্রিন-প্লে ও সকলের অভিনয় আমাকে মুগ্ধ করেছে।
প্রার্থনা ফারদিন দীঘি আরও জানিয়েছেন, চলতি বছর তার দুইটি সিনেমা বড় পর্দায় মুক্তির কথা আছে। একটি ‘মুজিব’ ও অন্যটি ‘শ্রাবণ জোৎস্নায়’।