রাজধানী ঢাকায় দুই সিটি করপোরেশনের পশুর হাটে আজ বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে আনুষ্ঠানিক কেনাবেচা। তবে গতকালও বিভিন্ন হাটে কেনাবেচা করতে দেখা গেছে ব্যবসায়ীদের।
যে পরিমাণ পশু উঠেছে সে পরিমাণ বিক্রি শুরু হয়নি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
এ বছর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় স্থায়ী হাট সারুলিয়া ছাড়াও অস্থায়ী আরো ১০টি হাট বসেছে। অন্য দিকে উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় গাবতলী হাট ছাড়াও ৯টি হাট বসেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ক্রেতারা এখনো ঘুরে ঘুরে হাট দেখছেন। তাদের বেশির ভাগেরই চাহিদা দেশি মাঝারি ও ছোট সাইজের গরু। গো-খাদ্যের দাম বাড়ায় এবার গরুর দামও বেড়ে গেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
গাবতলী পশুর হাটে কোরবানির গরু দেখতে এসেছেন সোহেল রানা। তিনি জানান, পশু দেখতে এসেছি, দেখছি দামদর কেমন? তবে, শেষের দিকে গরু কিনব। এখন কিনলে রাখার জায়গা নেই।
গরু বেচাকেনা কেমন হচ্ছে, জানতে চাইলে হাফিজ নামে এক ব্যাপারী বলেন, পর পর দুই বছর লোকসান দিয়েছি। এবার মনে হচ্ছে সে টাকা উঠবে। তার পরেও শেষ দিন পর্যন্ত দেখতে হবে। আসলে এখনো কিছু বোঝা যাচ্ছে না। কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের ব্যাপারী হামজা বলেন, ৪৮টা গরু আনছি। আশা করছি দু-একদিনে অর্ধেক শেষ হয়ে যাবে।
হাটের বিষয়ে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদ বলেন, যারা হাটগুলো ইজারা নিয়েছেন, আগত ক্রেতা এবং দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও প্রয়োজনীয় সুবিধা নিশ্চিত করতে তাদের আমরা নির্দেশনা দিয়েছি।
ডিএনসিসির ৬ হাটে ডিজিটাল লেনদেনের ব্যবস্থা
এদিকে ডিএনসিসির ছয়টি কোরবানির পশুর হাটে ডিজিটাল লেনদেনের জন্য বুথ উদ্বোধন করা হয়েছে। ডিজিটাল লেনদেনের ব্যবস্থা রয়েছে এমন হাটগুলো হচ্ছে গাবতলী, বছিলা, আফতাবনগর, ভাটারা, কাওলা ও উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টরের পশুহাট।
এ বিষয়ে উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মাহে আলম বলেন, কোরবানির পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপদ এবং সহজ লেনদেন নিশ্চিত করতে স্মার্ট হাটের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতায় ডিএনসিসির ছয়টি পশুর হাটে ডিজিটাল পেমেন্ট বুথ উদ্বোধন করা হয়েছে। এই উদ্যোগ ক্রেতা-বিক্রেতাদের নগদ অর্থ বহনের ঝুঁকি, নকল বা ছেঁড়া/ফাটা নোট-সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।