মহামারি’র সময়েও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে সরকার এগিয়ে নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ সকালে গণভবনে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জিন-মারিন শুহ’র সাথে বিদায়ী সাক্ষাতকালে প্রধানমন্ত্রী এমন অভিমত ব্যক্ত করেন। বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বিপুল সংখ্যক জনসংখ্যা রয়েছে এবং মহামারি’র সময়েও আমরা আমাদের অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়েছি।’
বাসস প্রতিবেদনে প্রকাশ, রাষ্ট্রদূত গত বছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির প্রশংসা করেছেন। মহামারির সময়েও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীকে জানান, তার সরকার কোভ্যাক্সের অধীনে ১.২ মিলিয়ন কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত নভেম্বরে তার ফ্রান্স সফরের ফলাফলে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, আগামী দিনগুলোতে দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও জোরদারের আমি আশাবাদী। প্যারিস সফরে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফ্রান্সের সঙ্গে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক বন্ধন রয়েছে। ফ্রান্স সরকার ও জনগণ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে সমর্থন করেছিল।
ফরাসি রাষ্ট্রদূত বলেন, ফ্রান্স আগামী ফেব্রুয়ারিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সভাপতিত্ব নিতে যাচ্ছে এবং একই মাসে এই অঞ্চলের দেশগুলির সাথে একটি ইন্দো-প্যাসিফিক শীর্ষ সম্মেলন করতে চলেছে। ইন্দো-প্যাসিফিক সামিটে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ফ্রান্স ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি যৌথ ইশতেহার সাক্ষরিত হয়েছে, যা দেশগুলোর সম্পর্কের অনেক দিককে কভার করেছে। ফ্রান্স ও বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে তার ফলপ্রসূ কার্যকালের জন্য প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশ-ফ্রান্স সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে তার গতিশীল ভূমিকার জন্য তাকে ধন্যবাদ জানান।