আজ রবিবার নেপালের পোখারায় একটি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬৮ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এটি গত তিন দশকে নেপালের সবচেয়ে ভয়ংকর উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা। উড়োজাহাজটি কাঠমান্ডু থেকে পোখারা বিমানবন্দরে যাচ্ছিল।
গুরুতর আহত কয়েকজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে বিবিসির একটি সুত্রে জানা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা দিভেতা জানান, স্থানীয় সময় সকাল ১১টার কিছুক্ষণ পর উড়োজাহাজটিকে আকাশ থেকে পড়তে দেখে তিনি দুর্ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তিনি বলেন, আমি যখন সেখানে পৌঁছাই তখন দুর্ঘটনাস্থলে প্রচণ্ড ভিড় ছিল। বিমানের আগুন থেকে প্রচুর ধোঁয়া উঠছিল। কিছুক্ষণের মধ্যেই উদ্ধারকারী হেলিকপ্টারগুলি চলে আসে। তিনি আরও বলেন, পাইলট কোন ভবনে আঘাত না করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন, শেষ পর্যন্ত বিমানটি নিকটস্থ একটি নদীর পাশে ছোট এক জায়গায় আছড়ে পড়ে।
ফ্লাইটটি ৬৮ জন যাত্রী নিয়ে যাত্রা করে, যার মধ্যে কমপক্ষে ১৫ জন বিদেশী নাগরিক এবং ৪ জন ক্রু সদস্য ছিল। জানা গেছে, বিমানটিতে ৫৩ জন নেপালি, ৫ জন ভারতীয়, ৪ জন রুশ ও ২ জন কোরিয়ান যাত্রী ছিলেন। এছাড়াও আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, আর্জেন্টিনা এবং ফ্রান্স থেকে একজন করে যাত্রী ছিলেন।

এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কারণে নেপালে এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী।
নেপালে বিমান দুর্ঘটনা নতুন নয়, পাহাড় ঘেরা দেশটির অবস্থান, দূরবর্তী রানওয়ে এবং আবহাওয়ার হঠাৎ পরিবর্তন যে কোন সময় বিমান চালকের জন্য বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।
২০১৮ সালের শুরুর দিকে, বাংলাদেশের ঢাকা থেকে ইউএস-বাংলার একটি ফ্লাইটে কাঠমান্ডুতে অবতরণের সময় আগুন লেগে ৫১ জন নিহত হয়েছিল।