পূর্ব এশিয়ার দেশ জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২ জনে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়াও ভূমিকম্পে আহত হয়েছেন আরও ২২ জন।
এনডিটিভি জানিয়েছে, নতুন বছরের প্রথম দিনে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানার পর কর্তৃপক্ষ ভূমিধস এবং সুনামির সতর্ক জারি করে। ভূমিকম্পের পর উদ্ধার তৎপরতায় নেমে উদ্ধারকর্মীরা এখন পর্যন্ত ৬২ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছেন। বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানে এখনও কাজ চলছে।
গত সোমবার জাপানের হোনশুর প্রধান দ্বীপের ইশিকাওয়া প্রিফেকচারে অঞ্চলে স্থানীয় সময় ৪টা ১০ মিনিটে আঘাত হানে শক্তিশালী এই ভূমিকম্প। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় অনেক ভবন ও রাস্তাঘাট। ভূমিকম্পটি হোনশু দ্বীপের নোটো প্রদেশে আঘাত করলে সেখানকার কর্মকর্তারা উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে এলাকা থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানান। এমনকি সুনামির সতর্কতাও জারি করা হয়। ভূমিকম্পের পর বেশ কয়েকবার আফটারশক দেখা দিয়েছে অঞ্চলটিতে।
উপকূলীয় শহর সুজুর মেয়র মাসুহিরো ইজুমিয়া বলেছেন, সব বাড়িই মাটিতে মিশে গেছে। প্রায় ৯০ শতাংশ বাড়ি সম্পূর্ণ বা প্রায় সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। পরিস্থিতি সত্যিই বিপর্যয়কর।
জাপান ভূমিকম্প প্রবণ একটি অঞ্চল। জাপান সরকারের তথ্য মতে, ২০১৮ সাল থেকে দেশটির উপকূলীয় অঞ্চলে ভূমিকম্পের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর আগে ২০১১ সালে উত্তর-পূর্ব জাপানে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প সুনামির সূত্রপাত করেছিল। যার ফলে প্রায় ১৮,৫০০ মানুষ মারা গিয়েছিল বা নিখোঁজ হয়েছিল।