গাজীপুর মহানগরের গাছা থানার দক্ষিণ খাইলকুর বগারটেক এলাকায় প্রাইভেট কারের ভেতর থেকে শিক্ষক দম্পতির লাশ উদ্ধারের পর থেকে থমথমে অবস্থা গাজীপুরে। নিহত ওই দম্পতির নিজ স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সকাল থেকে বিক্ষোভ করেছেন।
সকাল ১১ টা থেকে গাজীপুরের টঙ্গীর শহিদ স্মৃতি উচ্চবিদ্যালয়ের হাজার হাজার শিক্ষার্থী বিক্ষোভ করে। অপরদিকে টঙ্গীর আমজাদ আলী সরকার বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষক দম্পতিকে পরিকল্পিত হত্যা বলে দোষীদের বিচারের দাবি করেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে খুনিদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার না করলে মহাসড়ক অবরোধসহ গাজীপুর অচল করার ঘোষণা দেয়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী উপকমিশনার (এডিসি) হাসিবুল আলম বিক্ষোভের সময় এসে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন।
এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের অনুরোধ করেন এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এই মৃত্যুর সাথে জড়িত কেউ থাকলে তাদের গ্রেপ্তারের প্রতিশ্রুতি দেন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ভোরে দক্ষিণ খাইলকুর বগারটেক এলাকায় প্রাইভেট কারের ভেতরে এ কে এম জিয়াউর রহমান (৫১) ও মোসা. মাহমুদা আক্তার ওরফে জলি (৩৫) দম্পতির লাশ পাওয়া যায়। জিয়াউর গাজীপুরের টঙ্গীর শহিদ স্মৃতি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। মাহমুদা টঙ্গীর আমজাদ আলী সরকার বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। পরে মৃত ওই দম্পতিকে গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ত্রিশালে গতকাল রাত আড়াইটার দিকে দাফন সম্পূর্ণ করেন। পরে শুক্রবার (১৯ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮ টায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন গাছা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মৃত ওই স্কুল শিক্ষকের বড় ভাই আতিকুর রহমান বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।