চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

টর্নেডোতে প্রায় নিশ্চিহ্ন যুক্তরাষ্ট্রের একটি শহর

যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি রাজ্যে টর্নেডোর আঘাতে একটি শহর প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। যে বাড়িতে ২৪ ঘণ্টারও কম সময় আগে পরিবার এবং বন্ধুরা জড়ো হয়েছিল আনন্দঘন মুহূর্ত কাটাতে, এখন তা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এখানে কাঠের ফ্রেমগুলো টুকরো টুকরো হয়ে পড়ে আছে, রয়েছে উল্টানো ওয়াশিং মেশিন। কিন্তু এখানে একটা রান্নাঘর থাকতে পারে এমন কিছু শনাক্ত করা অসম্ভব। ধ্বংসস্তুপের মধ্যে খেলনার মতো ছুঁড়ে ফেলা যানবাহনও রয়েছে।

আমেরিকার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে আঘাত হেনেছে মারাত্মক টর্নেডো। ধ্বংসলীলা চালিয়েছে মিসিসিপি রাজ্যে। টর্নেডোর আঘাতে মিসিসিপি ও আলাবামায় অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, টর্নেডোর আঘাত হানার আগে খুব শান্ত ছিল পরিবেশ। এরপর হঠাৎ করেই সবকিছু অন্যরকম হয়ে যায়। পিষ্ট হয়ে যাওয়া গাড়ি, ইট এবং কাচের আবর্জনায় ভরে গেছে রাস্তায় – প্রায় সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে শহরটি।

একজন বাসিন্দা বিবিসিকে বলেন, তিনি বাথটাবে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তিনি বেঁচে আছেন এজন্য নিজেকে তিনি ভাগ্যবান মনে করছেন। তার বাড়ির কোনকিছুই অবশিষ্ট নেই। সবকিছুই শেষ হয়ে গেছে টর্নেডোয়।

মাঝরাতে টর্নেডো আঘাত হানে, মানুষ তখন ঘুমোচ্ছিল, তাই তারা সতর্ক বার্তা শুনতে পায়নি। অনেকেই প্রথম যেটা শুনতে পান তা হল ভয়ঙ্কর শব্দ। তারা মনে করে ভয়ানক কিছু ঘটছে।

ফ্রান্সিসকো ম্যাকনাইট নামের একজন বিবিসিকে বলেন, তিনি বেঁচে আছেন এটি একটি অলৌকিক ঘটনা। তার কাছে একমাত্র সতর্কবার্তা ছিল শব্দটি। শুক্রবার রাতে বাতাসের শব্দের মতো কোনো কিছু তিনি আগে কখনও শোনেননি এবং আর কখনও শুনতে চান না।


মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন টর্নেডো বিধ্বস্ত অঞ্চলের জন্য সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি মিসিসিপি থেকে প্রকাশ হওয়া ছবিগুলিকে ‘হৃদয়বিদারক’ হিসাবে বর্ণনা করে বলেছেন, ফেডারেল সরকার ‘যথাসাধ্য সহায়তা করবে’।