জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে গ্রেপ্তার ছাত্রদলের ছয় নেতা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে অস্ত্র সংগ্রহ করছিল বলে দাবি করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
শনিবার (১৯ আগস্ট) গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে লালবাগ থেকে ছাত্রদলের ছয় নেতাকে গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে তারা।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম ওরফে জিসান (৩১), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো.আব্দুল্লাহ আর রিয়াদ (২৯), সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আরিফ বিল্লাহ (৩০), সহ-সভাপতি মো. হাসানুর রহমান ওরফে হাসান (৩২), ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাহাদত হোসেন (৩১), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর (৩২) ও ছাত্রদলের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক মো.আরিফ বিল্লা (৩০)। সে সময় তাদের কাছ থেকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৩৬ রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয় বলেও জানিয়েছে ডিবি পুলিশ।
রোববার (২০ আগস্ট) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ঢাকা মেট্রোপলিটর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম ও ডিবি-উত্তর) খোন্দকার নুরুন্নবী।
খোন্দকার নুরুন্নবী বলেন, তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা অস্ত্রগুলোর মধ্যে দুইটি পাবনা ও একটি টেকনাফ থেকে সংগ্রহ করেন তারা। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ও নাশকতাতার মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য তারা অস্ত্র সংগ্রহ করেছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে তারা অস্ত্র সংগ্রহ করে এই পরিকল্পনা করছিলেন। তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কথপোকথনের সূত্রে কার কাছ থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করা হয়েছে, সেই তথ্য জানা গেছে। অস্ত্র সরবরাহকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
গ্রেপ্তার হওয়া ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দুটি মামলা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, শুক্রবার (১৮ আগস্ট) এই ছয় ছাত্রদল নেতাকে ডিবি তুলে নিয়ে যায়, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলার এজাহারে যেভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, সেভাবেই আমরা তাদের গ্রেপ্তার করেছি এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়েছি।