বিচার প্রক্রিয়া চলাকালীন অনেকসময় বিচারকও বোঝেন যাকে দোষী বলা হচ্ছে সে আসলেই দোষী! কিন্তু সঠিক প্রমাণের অভাবে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা যায় না। আবার অনেক অপরাধী আইনের ফাঁক দিয়ে পার পেয়ে যায়। কারণ, প্রমাণ যেদিকে যায় আইনের পাল্লা সেদিকেই ভারী থাকে।
আকবর হায়দার মুন্নার গল্প ভাবনায় এমন কনসেপ্ট নিয়ে নির্মিত হয়েছে ইউটিউব ভিত্তিক ড্রামা ‘ডার্ক জাস্টিস’। যে গল্পে দেখানো হবে, বিচারকের টিম তদন্ত করে আসল সত্য উদঘাটন করেন। এটি নির্মাণ করেছেন ‘লিডার আমি বাংলাদেশ’ ছবির নির্মাতা তপু খান। নির্মাতা এটিকে ইউটিউব ফিল্ম বলতে চাইলেন। তার কথা, বড় বাজেটে সিনেমার টিম নিয়ে নির্মাণ করেছি। এমনকি এর দুটির দৃশ্যের জন্য ইন্ডিয়ান অ্যাকশন ডিরেক্টর নিয়েছি।
বড় বাজেটে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নিয়মিত কনটেন্ট নির্মিত হচ্ছে। কয়েকজন প্রযোজক ইউটিউব প্ল্যাটফর্মে বড় বাজেটের কনটেন্ট নির্মাণ করছেন। তাদেরই একজন ক্লাব ইলেভেন এন্টারটেনমেন্টের কর্ণধার আকবর হায়দার মুন্না। যিনি ‘আশ্রয়’, ‘মায়ের ডাক’, ‘বিদেশ’, ‘কিডনি’র মতো নাটকগুলোর প্রযোজক। তিনি বলেন, ডার্ক জাস্টিসের গল্প কাল্পনিক নয়। এমন ঘটনা চারপাশে হচ্ছে। সেখান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে গল্প আমার মাথায় এসেছে।
তপু খান জানান, এটি বিগ বাজেটের কনটেন্ট। তবে প্রযোজক বললেন, আমি সবসময় গল্পে যা ডিম্যান্ড করে সেভাবেই কাজের চেষ্টা করি। দর্শক কনটেন্ট দেখলে পরিষ্কার বুঝতে পারেন ভিজ্যুয়ালাইজেশনে আয়োজন কেমন থাকে। ইউটিউবে বেশি কনটেন্টে কাজ করি। দর্শকদের ভালো কাজ দেব এই ইনটেনশন সবসময় থাকে। ভালো কাজ প্রতিমাসে করা যায় না। এজন্য সময় লাগে। তাই যে কাজগুলো করি যেন আলাদা হয় সেই চেষ্টা থাকে।
আটদিন শুটিংয়ের মাধ্যমে ‘ডার্ক জাস্টিস’র শুটিং শেষ হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর এটির ট্রেলার প্রকাশ হবে এবং ১ জানুয়ারি ২০২৪-এ ক্লাব ইলেভেন এন্টারটেনমেন্টের ইউটিউবে মুক্তি দেয়া হবে। এর বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, সায়লা সাবি, মনিরা মিঠু, ইরফান সাজ্জাদ, রাশেদ মামুন অপু, মাহিমা, জয়রাজ, সায়েদ আলী সুজন, অনিন্দিতা মিমি, স্বরন সাহা, রওনক রিপন প্রমুখ।
তপু খান বলেন, সিনেমার মতো করে এটি নির্মাণ করেছি। গল্পটি সারপ্রাইজিংভাবে উপস্থাপন হবে। এতে যেসব টেকনিশিয়ান কাজ করেছেন সবাই ফিল্মের। সংলাপ ও চিত্রনাট্য করেছেন দেলোয়ার হোসেন দিল, ফাইট ডিরেক্টর চেন্নাইয়ের রকি রাজেশ। এজন্য এটিকে ইউটিউব ফিল্ম বলতে চাই।