চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Nagod

পাহাড়ের পরিত্যক্ত জমিতে কুল চাষে সাফল্য

রাঙ্গামাটিতে পাহাড়ের পরিত্যক্ত জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির কুল চাষে সফল হয়েছেন কৃষি উদ্যোক্তা সুশান্ত তঞ্চঙ্গ্যা। নিজের বেকারত্ব দুর করতে পৈত্রিক পাহাড়ি পরিত্যক্ত জমিতে সুশান্ত গড়ে তুলেছেন কুলসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলের বাগান।

২০১৬ সাল থেকে পরিত্যক্ত প্রায় ১০ একর জমিতে সুশান্ত গড়ে তুলেছেন এই ফলের বাগান। প্রথম দিকে সুশান্তর স্ত্রী তার স্বপ্নের বাগান গড়ে তোলার কাজে সহযোগিতা করলেও সুশান্তর বাগানের পরিধি এখন অনেক বেড়ে গেছে। তার বাগানে এখন প্রায় ১০-১২জন শ্রমিক কাজ করছে।

Bkash July

পাহাড়ি উঁচু-নিচু ঢালে তিনি এক হাজার বরই গাছ লাগিয়েছেন। গাছগুলোতে এখন থোকায় থোকায় ঝুলছে সুস্বাদু মিষ্টি কুল। সুশান্তের বরই বাগানে এরই মধ্যে পাকতে শুরু করেছে বল সুন্দরী, ভারত সুন্দরী, কাশ্মিরী আপেল বরই ও দেশি জাতের বরই। বর্তমানে বরই কেজি প্রতি ১২০-১৫০ টাকা করে বিক্রি করছেন সুশান্ত।

কুল ছাড়াও সুশান্তের বাগানে রয়েছে ২০ প্রজাতির বিভিন্ন ফলের বাগান। যার মধ্যে রয়েছ আম, কাঁঠাল, লটকন, লিচু, আমলকী, পেঁপে, তেঁতুল, মাল্টা, লেবু, বেল, নারিকেল, সুপারি, রাম্বুটানসহ অন্যান্য বারোমাসি ফল। বর্তমানে সুশান্ত বরই বিক্রি শুরু করেছেন। এবার বরই বিক্রি করে তিনি ৫-৭লক্ষ টাকা আয় করবেন বলে আশা।  এবছর বঙ্গবন্ধু কৃষি পদকের জন্য আবেদন করেছেন পাহাড়ের সফল এই কৃষি উদ্যোক্তা ।

Reneta June

সফল উদ্যোক্তা হিসেবে সুশান্ত এখন পাহাড়ের এক রোল মডেলের নাম। তার বাগান দেখে অনেকে আকৃষ্ট হয়ে বাগান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

রাঙ্গামাটি জেলায় এবার ৭৭০ হেক্টর জমিতে বরই চাষ হয়েছে এবং উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৭ হাজার ৬শত মেট্রিক টন ধরা হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। পাহাড়ে কুল চাষের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সরকারী সহায়তা কামনা করেছেন কৃষি উদ্যোক্তারা।

Labaid
BSH
Bellow Post-Green View