এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির আন্দোলনের মাঝে তালা ভেঙ্গে কার্যালয়ে প্রবেশ করায় উপচার্য এ এফ এম আবদুল মঈনের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে শিক্ষক সমিতি।
রোববার ২৮ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় সাংবাদিকদের সামনে শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো আবু তাহের এই দাবি জানান।
মূলত, সাত দফা দাবির প্রেক্ষিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ট্রেজারার ও প্রক্টরকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছিল শিক্ষক সমিতি। আজ উপচার্য তালা ভেঙ্গে কার্যালয়ে প্রবেশ করায় এখন তাদের একটাই দাবি উপাচার্যের পদত্যাগ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বিভিন্ন ভিডিও সূত্রে জানা যায়, সাত দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক সমিতির সদস্যরা প্রশাসনিক ভবনসহ উপাচার্যের কার্যালয়ে তালা দেন। আজ দুপুর ১টার দিকে উপাচার্য, প্রক্টরিয়াল বডি এবং উপাচার্যপন্থী শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তালা ভাঙ্গতে যায়। এসময় উপাচার্যের পক্ষে শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মীও ছিলেন। একপর্যায়ে উপাচার্যকে তালা ভঙ্গতে বাধা দিলে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সাথে হাতাহাতিও হয়।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি জানান, ‘আমরা এত দিন তিনজনকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে আসছিলাম। আজকে তো আমাদের গায়ে হাত দিয়ে প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করেছেন উপাচার্য। এত দিন সাত দফা দাবি ছিল। এখন আমাদের দাবি একটাই। এই উপাচার্যকে আমরা আর চাই না।’
উপাচার্য এ এফ এম আবদুল মঈন জানান, শিক্ষকরা বেআইনিভাবে আমাকে বাধা দিয়েছেন। আমাকে আঘাত করেছেন। আমি চাই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান। কিন্তু আন্দোলনকারী শিক্ষকরা যা করছেন তা মোটেও ঠিক নয়।