চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

চাদর-তোয়ালে কিনতেই রোনালদোর এতো খরচ

গেল মৌসুমটা যুতসই কাটেনি সময়ের অন্যতম সেরা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। তাকে ঘিরে ক্লাব-ভক্তদের প্রত্যাশা আকাশচুম্বী। পুরনো স্মৃতি নতুন মৌসুমে টেনে আনার পাত্র নন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড মহাতারকাও। নিরালায় সময় কাটাতে ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে চেপে পরিবার নিয়ে উড়াল দিয়েছিলেন স্পেনের দর্শনীয় দ্বীপ মায়োর্কায়। নিজেকে রিচার্জ করার পাশাপাশি যেখানে দু’হাতে খরচ করছেন অর্থ।

একদশকেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বের সর্বোচ্চ বেতনভোগী ফুটবলারদের একজন রোনালদো। ব্যাংকে অর্থের পাহাড় জমেছে ৩৭ বর্ষীর। এত অর্থ কোথায় খরচ করেন পর্তুগিজ সুপারস্টার, যাদের এমন ভাবনা তাদের জন্য খবর- সবশেষ মায়োর্কা ভ্রমণেই ২৮.৬ মিলিয়ন খরচ করে এসেছেন সিআর সেভেন।

বিলাসবহুল ভ্রমণ সময়টাতে কী করেননি রোনালদো। যেখানে থেকেছেন, সেই ভিলায় বেশ কয়েকটি কক্ষ ছাড়াও ফুটবল, টেনিস, বাস্কেটবল, বিচ ভলিবল ও জিমের ব্যবস্থা ছিল। রোনালদোও উপভোগ করেছেন। মডেল সঙ্গিনী জর্জিনার সাথে আয়েশি সময় কাটিয়েছেন, ইচ্ছেমত ঘুরে বেড়িয়েছেন প্রেমের সাম্পানে, ডুব দিয়েছেন সুইমিং পুলের স্বচ্ছ জলে।

সেখানে স্নান সেরে রোনালদো যে তোয়ালে ব্যবহার করতেন, যে বিছানার চাদরে ঝাঁপিয়ে পড়তেন ক্লান্ত-শ্রান্ত হয়ে, সেগুলোর দাম শুনলেও চক্ষু ছানাবড়া হতে বাধ্য! রোনালদোর ১৪ হাজার ইউরো খরচ হয়েছে কেবল তোয়ালে ও বিছানার চাদরেই।

মায়োর্কায় থাকাকালীন অনলাইনে একটি সানগ্লাস অর্ডার করেছেন রোনালদো, যার দাম পড়েছে ৪ হাজার ইউরো। ব্যক্তিগত যে উড়োজাহাজে এসেছেন তার দামই তো ২২ মিলিয়ন ইউরো। উড়োজাহাজ থেকে নেমে প্রমোদতরীতে চেপে মায়োর্কায় গিয়েছেন, ২৭ মিটার দীর্ঘ প্রমোদতরীতে খরচ হয়েছে তার ৬.৫ মিলিয়ন ইউরো।

এসব নিয়ে অবশ্য মাথা ঘামানোর সময় নেই রোনালদোর। ভ্রমণটা হয়েছে ফুরফুরে মেজাজে। এখন মাঠের খেল দেখাতে মুখিয়ে আছেন। নতুন মৌসুমে চিরচেনা রূপেই তাকে পাওয়ার আশা ক্লাব-সমর্থকদের।