চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (৮ অক্টোবর) সকাল ১০টায় বিভাগের ১১১নং রুমে নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়।
বিভাগীয় সভাপতি মো. সাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর সিরাজ উদ দৌল্লাহ।
প্রায় ৩ ঘণ্টাব্যাপী আলোচনায় বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মৌমিতা পাল, মো. মাজহারুল ইসলাম এবং প্রভাষক ফারজানা রহমান ও প্রকাশ চন্দ্র রায় অংশগ্রহণ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর সিরাজ উদ দৌল্লাহ বলেন, অপরাধের কার্যকারণ নির্ণয় ও তৎসংশ্লিষ্ট খুঁটিনাটি বিষয়াদি নিয়ে মূলত ক্রিমিনোলজি বিষয়ের সূত্রপাত। তিনি উল্লেখ করেন, শিক্ষার্থীরা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ক্ষেত্রে অপরাধ প্রতিকার ও প্রতিরোধে গবেষণালব্ধ জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে রাষ্ট্রের পলিসি লেবেলে কাজ করবেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মো. কাদের মিয়া বলেন, শিক্ষার্থীদের নিজেদের তৈরি করার শ্রেষ্ঠ সময় হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। তবে মুক্ত স্বাধীনতা ও মুক্তবুদ্ধি চর্চার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের দায়বদ্ধতা তথা জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্র উল্লেখপূর্বক; বিশেষ করে চাকরিতে ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থীদের পেশাগত সুযোগ ও দক্ষতা নির্ণয়পূর্বক উদ্দীপনামূলক বক্তব্য তুলে ধরেন। বিভাগের অন্যান্য শিক্ষকরা নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য ও কারিকুলামের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
এসময় বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরাও নবীনদের উদ্দেশে তাদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের অভিজ্ঞতাসমূহ নিয়ে আলোচনা করেন।
সভাপতির বক্তব্যে মো. সাখাওয়াত হোসেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাক্ট ১৯৭৩ -এর বিভিন্ন বিষয় তথা অনুষদের নিয়মকানুন ও অন্যান্য বিষয়াদি তুলে ধরেন।
পরিশীলিত মানব সম্পদ গঠনের ক্ষেত্রে, জীবন বিনির্মাণে শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্যকে বাস্তবে প্রতিফলনের নিমিত্তে যুগোপযোগী শিক্ষা কার্যক্রমের কারিকুলাম হিসেবে ক্রিমিনোলজি ডিসিপ্লিনের অনন্যতা নিয়ে শিক্ষার্থীদের সামনে বিস্তারিত তুলে ধরে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন সভাপতি।