অনবদ্য পারফরম্যান্সের কারণে ২০২২ সালে ক্রিকইনফোর বর্ষসেরা ওয়ানডে একাদশে জায়গা পেয়েছেন টাইগার অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ।
বিদায় নিতে চলা বছরে মিরাজ ১৫ ওয়ানডেতে ব্যাট হাতে ৬৬ গড়ে করেন ৩৩০ রান। বল হাতে ২৪টি উইকেটও তার দখলে রয়েছে।
ব্যাটিং অর্ডার অনুযায়ী মিরাজকে সাত নম্বরে রাখা হয়েছে। ওপেনিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার ট্রাভিস হেড ও ভারতের শুভমান গিল। এরপরে রয়েছেন বাবর আজম, শ্রেয়াস আয়ার, টম ল্যাথাম ও সিকান্দার রাজা।
বোলিং লাইনআপে থাকা তিন পেসার আলঝারি জোসেফ, মোহাম্মাদ সিরাজ ও ট্রেন্ট বোল্ট। স্পিনার হিসেবে জায়গা পেয়েছেন অ্যাডাম জাম্পা।
২৫ বর্ষী বাংলাদেশি ক্রিকেটারের চলতি বছর তিনটি পারফরম্যান্স ছিল অসাধারণ। ফেব্রুয়ারিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২১৬ রানের লক্ষ্যে ৪৫ রানে ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সেখান থেকের আফিফ হোসেনের সঙ্গে ১৭৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলের জয়ে ভূমিকা রাখেন মিরাজ। ৮১ রানে তিনি অপরাজিত ছিলেন।
এ মাসেই ভারতের বিপক্ষে মিরাজের কীর্তি ওয়ানডে ক্রিকেটের ক্লাসিক বলাটা মোটেও বাড়াবাড়ি হবে না। ১৮৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেও জেগেছিল হারের শঙ্কা। ৯ উইকেট পতনের পর মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে সাহসীকতার সঙ্গে জুটি গড়ে তিনি প্রথম ওয়ানডে জয়ের নায়ক হন। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ৩৯ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মিরাজ আবারো দলকে মহাবিপদ থেকে রক্ষা করেন। ৬৯ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে গড়েন ১৪৮ রানের জুটি। ৮৩ বলে ৮ চার ও ৪ ছক্কায় করেন সেঞ্চুরি। ঠিক ১০০ রানে অপরাজিত থাকার পাশাপাশি বল হাতে ২ উইকেট নেন।
এক ম্যাচ হাতে রেখেই ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জেতে বাংলাদেশ। প্রথম দুই ম্যাচে সেরা খেলোয়াড়ের পাশাপাশি সিরিজ সেরাও হন মিরাজ।
ক্রিকইনফোর বর্ষসেরা ওয়ানডে একাদশ: ট্রাভিস হেড, শুভমান গিল, বাবর আজম, শ্রেয়াস আয়ার, টম ল্যাথাম, সিকান্দার রাজা, মেহেদী হাসান মিরাজ, আলঝারি জোসেফ, মোহাম্মাদ সিরাজ, অ্যাডাম জাম্পা ও ট্রেন্ট বোল্ট।