ফুটবলের মহাতারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো মাঠে নামলেই রেকর্ড গড়াটাকে বহু আগেই বানিয়েছেন অভ্যাস। সম্প্রতি চোট থেকে ফিরে পেলেন বছরের প্রথম গোল। খেলে ফেললেন ক্লাব ক্যারিয়ারের ১,০০০তম ম্যাচ। দর্শকরা দেখলেন সিআর সেভেনের ভিন্ন রকমের উদযাপন।
বর্ণাঢ্য ক্লাব ক্যারিয়ারে রোনালদো সবচেয়ে বেশি ২০০৯-২০১৮ মৌসুম পর্যন্ত ৪৩৮ ম্যাচ স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলেছেন। ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে ৩৪৬টি, জুভেন্টাসের হয়ে ১৩৪টি, স্পোর্টিং লিসবনে ৩১টি এবং আল নাসেরের হয়ে এখন পর্যন্ত তিনি ৫১ ম্যাচ খেলেছেন। সবমিলিয়ে ক্লাব ক্যারিয়ারে ১,০০০ ম্যাচে রোনালদোর গোল সংখ্যা ৭৪৬টি।
এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগের খেলায় আল ফায়হাকে ১-০ গোলে হারায় আল নাসের। বুধবার রাতে ম্যাচের ৮১ মিনিটের মাথায় মার্সেলো ব্রোজোভিচের পাসে বল পেয়ে ডানপায়ের ভলিতে নিশানাভেদে সক্ষম হন ৩৯ বর্ষী ফুটবলার।
গোল পাওয়ার পর পর্তুগিজ মহাতারকা সাধারণত কিছু দূর দৌড়ে গিয়ে শূন্যে লাফিয়ে শরীর মুচড়ে উল্টো করে মাটিতে নামার সময় আড়াআড়িভাবে হাত দুটি শরীরের দুই পাশে নামিয়ে আনেন। এটি তার ট্রেডমার্ক উদযাপন হলেও প্রিন্স ফয়সাল বিন ফাহাদ স্টেডিয়াম হয়েছে ভিন্ন দৃশ্যের সাক্ষী। এবার বল জালে জড়িয়ে বুকের ওপর হাত রাখেন।
ম্যাচের পর ইন্সটাগ্রামে দেয়া পোস্টে রোনালদো লিখেছেন, ‘জয় দিয়ে শেষ ষোলো শুরু হল! দলের কাজটা ভালো হয়েছে।’
ইনজুরির কারণে সবশেষ চীন সফরে গিয়েও খেলা হয়নি রোনালদোর, মাংশ পেশির চোটের কারণে স্থগিত করা হয় আল নাসেরের হয়ে দুই প্রীতি ম্যাচ, লিওনেল মেসির ইন্টার মিয়ামির সঙ্গে ৬-০ গোলের জয়ের ম্যাচেও সাইড বেঞ্জে ছিলেন পর্তুগিজ তারকা।
ইনজুরি থেকে ফেরার পর বছরের প্রথম গোল পাওয়ার পাশাপাশি এবং ক্লাব ক্যারিয়ারের এক হাজারতম ম্যাচ খেলতে নামেন সিআর সেভেন। তবে সহজে গোলের পাচ্ছিলেন না আল নাসের তারকা। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে সিআর সেভেনের শট প্রতিহত করেন প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক ভ্লাদিমির স্টোজকোভিচ। বিরতির পর ৬৪ মিনিটে ৩৯ বর্ষী ফুটবলারের হেডও স্টোজকোভিচ ঠেকিয়ে দেন। শেষপর্যন্ত তিনি গোলের দেখা পান।