এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধি, দুর্নীতি অপচয় বন্ধ ও বিভিন্ন প্রজেক্টের শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবিতে কমলাপুর রেল স্টেশন প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)।
শুক্রবার ৩ মে সকাল ৯ টায় কমলাপুর রেল স্টেশন প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ। সাধারণ মানুষের প্রকৃত আয় কমে গেছে। এরপর গণপরিবহন রেলের টিকিটের মূল্য বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জীবনকে আরও অতিষ্ঠ করে তুলবে। পণ্যের পরিবহন ব্যায় বাড়বে, যা সাধারণ মানুষের উপর চাপ বাড়াবে।
সিপিবি আয়োজিত এই বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সিপিবি সভাপতি মো. শাহ আলম। বক্তব্য রাখেন, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রেজা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জলি তালুকদার, ও কাজী রুহুল আমিন।
সমাবেশে সিপিবি সভাপতি মোঃ শাহ আলম বলেন, বড় বড় প্রজেক্টের নামে রেলকে আধুনিকায়ন করার কথা বলা হচ্ছে অথচ এই টাকার যথাযথ ব্যবহার হচ্ছে না। দেশের টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। ঋণ খেলাপিদের দৌরত্বে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সরকার এদেরই পোষণ করে চলছে। সরকার শুধু সিন্ডিকেটের পাহারাদেরই নয়, সিন্ডিকেটেরি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে সাধারণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিকল্প শক্তি সমাবেশ গড়ে তুলতে হবে। রেলের ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক ও গণ বিরোধী আখ্যায়িত করে , এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি। সরকার ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করলে সারা দেশে এই মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, দুর্নীতি অপচয় ও ব্যবস্থাপনা দূর করতে পারলে রেলকে আরও লাভজনক খাতে পরিণত করা যেত। এটি না করে রেলের ভাড়া বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন প্রজেক্ট এর নামে দুর্নীতিবাজদেরই দায় মুক্তি দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, পরিকল্পিতভাবে নৌখাতকে ধ্বংস করা হয়েছে। রেলপথে খরচ বৃদ্ধি ও সংকুচিত করে রোড সিন্ডিকেট এবং বাস মালিকদের সুবিধা দেয়ার প্রচেষ্টা চলছে। রেলের ভাড়া বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে বাসের ভাড়া বৃদ্ধির পথ উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে।
মিহির ঘোষ বলেন, এই সরকার মূল্য বৃদ্ধির সরকার। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ সরকার। জনগণের উপরে নির্যাতন যেমন চলছে, একই সাথে মূল্য বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের পকেট কাটার মহোৎসব করে চলেছে সরকার।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল কমলাপুর রেলস্টেশন চত্বর প্রদক্ষিণ করে।