কয়েক দিন আগেই ফ্রান্সের ভাট্রি বিমানবন্দরে আটকানো হয়েছিল একটি বিমান। সন্দেহ করা হচ্ছিল, সেই বিমানে করে মানব পাচার করা হচ্ছে। তাতে ছিলেন ৩০৩ ভারতীয় নাগরিক। তাদের আটকের পরও সমাধান মিলছে না, তৈরি হচ্ছে ধোঁয়াশা।
সোমবার ২৫ ডিসেম্বর হিন্দুস্তান টাইমস’র প্রতিবেদনে বলা হয়, এদের বিষয়ে হওয়া মামলায় রোববার ফরাসি আদালত নির্দেশ দিল, বিমানে থাকা ভারতীয়রা ফ্রান্স ছাড়তে পারবেন।
এছাড়াও আটক করা বিমানটিকেও ফ্রান্স ছাড়ার অনুমতি দেয়া হয়। তবে এ বিমানটি কি ভারতে আসবে? নাকি দুবাই বা নিকারাগুয়ায় যাবে? এটা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। বিমান বা আটকে থাকা ভারতীয়দের গন্তব্য নিয়ে কোনো নির্দেশই দেয়নি ফরাসি আদালতটি।
জানা যায়, এর আগে বিমান আটকানোর পর ভাট্রি বিমানবন্দরেই আটক ছিলেন তাতে থাকা শতাধিক ভারতীয়। তবে তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। বিমানের ক্রুদের জেরা করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বিমানের যাত্রীদেরও। এরই মাঝে বিমানে থাকা ভারতীয়দের খেয়াল রাখা হয়। এই আবহে ফরাসি প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ভারতীয় দূতাবাস।
এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এই সবের মাঝেই ফ্লাইট সংস্থার আইনজীবী কথা বলেন ফরাসি প্রশাসনের সাথে।
প্রতিবেদনে প্রকাশ, যে বিমানে করে এই ভারতীয়দের মধ্য আমেরিকার দেশ নিকারাগুয়ায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, সেটি এ৩৪০। রোমানিয়ার ‘লেজেন্ড এয়ারলাইন্স’ নামক সংস্থার দ্বারা বিমানটি পরিচালিত হয়। আদালতের নির্দেশের পরও আপাতত এই বিমানটি ফ্রান্সের ভাট্রি বিমানবন্দরে আছে। এই বিমানবন্দরটি ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ফ্রান্সের ভাট্রি বিমানবন্দরে জ্বালানি ভরাতে নেমেছিল রোমানিয়ার বিমানটি। এই ঘটনা প্রসঙ্গে লেজেন্ড এয়ারের আইনজীবী দাবি করেন, রোমানিয়ান ফ্লাইট সংস্থাটি বিশ্বাস করে, তারা কোনো অপরাধ করেনি। এই আবহে তদন্তকারীদের সাহায্যর আশ্বাস দিয়েছে সংস্থাটি।
তবে লেজেন্ড এয়ারকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের হলে তারা পাল্টা আইনি পথে যাবে বলে জানিয়েছিল সংস্থাটি। এদিকে এই ঘটনার তদন্তে নেমেছিল ফরাসি সংগঠিত অপরাধ বিরোধী সংস্থা জুনালকো। জানা গেছে, এই বিমানে থাকা ৩০৩ জন ভারতীয় সংযুক্ত আরব আমিরাতেই কাজ করতেন। সেখান থেকেই নিকারাগুয়ার এই বিমানে চাপানো হয়েছিল তাদের। সেখান থেকে আমেরিকা বা কানাডায় এই ভারতীয়দের পাচার করা হতো বলে মনে করা হচ্ছিল।