দেশে হৃদরোগের জটিল চিকিৎসার সক্ষমতা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। কিন্তু ১৭-১৮ কোটি মানুষের এই দেশে যে মাত্রায় চিকিৎসা সুযোগ বাড়ার কথা ছিল তা হয়নি। ফলে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য এই চিকিৎসা মোটেও সহজলভ্য নয়।
এ কারণে জেলা পর্যায়ে ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজি চিকিৎসার পরিসর আরও বাড়াতে হবে। যাতে করে সাধারণ মানুষ এই চিকিৎসার সুফল পেতে পাওে এবং তাদের জীবনকাল বৃদ্ধি পায়।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে সোসাইটি ফর কার্ডিওভাসকুলার এনজিওগ্রাফি অ্যান্ড ইন্টারভেনশনস (এসসিএআই)-এর আয়োজনে চতুর্থবারের মতো ‘এসসিআই কোর্স অন কমপ্লেক্স পিসিআই’ শীর্ষক আয়োজিত সায়েন্টিফিক সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে দেশ ও বিদেশের বিশেষজ্ঞ হৃদরোগ চিকিৎসকেরা একথা বলেন।
দু’দিন ব্যাপী (১৮-১৯ এপ্রিল) এই সম্মেলনেরউদ্বোধন করেন এসসিএআই-এর আন্তর্জাতিক কর্মসূচি প্রধান রমেশ দুগাবাতি, এসসিএআই-এর কোর্স ডিরেক্টর, হৃদরোগ রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এম. জি আজম। আয়োজিত এই সম্মেলনে কার্ডিওভাসকুলার বিষয়ে বিভিন্ন সায়েন্টিফিক সেশনে দেশ ও বিদেশের বিশেষজ্ঞ, খ্যাতনামা ও তরুণ চিকিৎসকেরা অংশগ্রহণ করেন। এই আয়োজনের ইভেন্ট পার্টনার হিসেবে রয়েছে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লি.ও মেডট্রোনিক বাংলাদেশ প্রা. লি.।
উদ্বোধনী দিনের বিভিন্ন অধিবেশনে হৃদরোগের বিভিন্ন জটিলতা, ঝুঁকি, প্রতিকার, অপারেশন নিয়ে বিশেষজ্ঞ মতামত প্রদান করেন ইউকে থেকে আগত ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট প্রফেসর মামাস এ মামাস, ইউএসএ থেকে আগত ডাক্তার চৌধুরী এইচ আহসান, ভারত থেকে আগত ডা. শুভানন রায়, অষ্ট্রেলিয়া থেকে আগত হ্নদরোগ বিশেষজ্ঞ রুসটেম দাউতভ, অধ্যাপক ডাক্তার একেএম মাকসুমুল হক, অধ্যাপক ডাক্তার বরেন চক্রবর্তী, অধ্যাপক ডাক্তার ফজিলাতুনন্নেছা মালিকসহ অন্যান্যরা। দেশ ও বিদেশের প্রায় ৫ শতাধিক বিশেষজ্ঞ ও তরুণ ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট এই সায়েন্টিফিক সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছেন।
সোসাইটি ফর কার্ডিওভাসকুলার এনজিওগ্রাফি অ্যান্ড ইন্টারভেনশনস (এসসিএআই)-এর কোর্স ডিরেক্টর, হৃদরোগ রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এম.জি আজম জানান, এই সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য হৃদরোগের আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে জানা এবং বিশ্বের সাথে আমাদের তুলনামূলক চিত্র নিরুপণ করে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করে এগিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করা। একই সাথে তরুণ চিকিৎসকদের সাথে আন্ততর্জাতিক পর্যায়ের বিশেষ চিকিৎসকদের কানেকটিভিটি তৈরি করা।