উদযাপনের মঞ্চটা আগেই প্রস্তুত করে রেখেছিলেন ভারতীয় মেয়েরা। তবে শেষটা রঙিন হয়নি। সোনার জন্য হাত বাড়িয়ে রৌপ্য নিয়ে সান্ত্বনা খোঁজতে হয়েছে হারমনপ্রীত কৌরের দলের। দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্ব ফাইনালের মঞ্চে অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে না পারার আক্ষেপেই হয়তো শরীরী ভাষায় ফুটে উঠছিল কৌরের। কমনওয়েলথ গেমসের সোনার লড়াইয়ে ভারতীয়দের ৯ রানে হারিয়ে সোনা জিতেছে অজি মেয়েরা। ব্রোঞ্জ জেতার লড়াইয়ে ইংলিশদের ৮ উইকেটে হারিয়েছে কিউই মেয়েরা।
সোনা জয়ের লড়াইয়ে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামেন অস্ট্রেলিয়া। বেথ মুনেয়ের ৪১ বলে ৬১ ও অ্যাশলেঘ গার্ডনারের ১৫ বলে ২৫ রানে ভর করে ২০ ওভারে ৮ উইকেট খরচায় ১৬১ রান তুলে অজিরা।
জবাবে ভালোই লড়ছিল ভারত। বড় মঞ্চে অজিদের হারানোর সুযোগটাকে কাজে লাগাতে দলকে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন কৌর। খেলেন ৪৩ বলে ৬৫ রানের ইনিংস। কৌর ফিরলেই ঘটে ছন্দপতন। দ্রুত উইকেট হারিয়ে চাপ বাড়তে থাকে। শেষ দিকে কেউ থিতু না হতে পারলে ৩ বল আগেই ৯ রান দূরে থামে ভারত। সেই সাথে স্বপ্ন ভঙ্গ হয় সোনা জেতার। দলের হারে কিছুটা বিষণ্ণ দেখালেও দলের পারফরমেন্সে নিজের সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন কৌর।
‘আমরা যেভাবে খেলেছি তাতে আমি খুশি এবং সন্তুষ্ট। আমরা সোনা জয়ের কাছাকাছি ছিলাম, আসর জুড়ে আমাদের পারফরম্যান্স দুর্দান্ত ছিল। এই প্রথম আমরা এই টুর্নামেন্টে খেলতে পেরেছি এবং রৌপ্য পদক জিতেছি। তাই খুশি। পদক এমন একটি জিনিস যা সবসময় অন্যকে অনুপ্রাণিত করে। এই পদক নতুনদের জন্য বার্তা যে তারা ক্রিকেট শুরু করতে পারে। আমরা তরুণ মেয়েদের অনুপ্রাণিত করতে চাই। এই প্ল্যাটফর্মে ভাল করা অনেক লোককে অনুপ্রাণিত করবে।’
ম্যাচ শেষে জয়ী দলের অন্যতম সদস্য মেগান শুট জানিয়েছেন সোনা জয়ের অনুভূতি।
‘উত্তেজনায় ঠাসা একটা ম্যাচ ছিল। এখন পর্যন্ত খেলা আমার জীবনের সেরা ম্যাচ গুলোর একটি এটি। আমরা সেরা ফিল্ডিং ও বোলিং করিনি তবে আশা ছিল। সবটুকো দিয়ে ম্যাচের শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছি। আর এটাই অস্ট্রেলিয়া দলের বৈশিষ্ট্য। একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচ নিয়ে রোমাঞ্চকর জয়ের অংশ হতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।’
রোববার ব্রোঞ্জ পদক জয়ের ম্যাচে, স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৮ উইকেটে জয় তুলেছে সোফি ডিভাইনের নিউজিল্যান্ড। কিউইদের দাপটে বোলিংয়ে ১১০ রানে থামে ইংলিশ মেয়েরা। জবাবে সোফি ডিভাইনের অপরাজিত ৫১ রানে ভর করে ৮ ওভার বাকি রেখে ৮ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কিউইরা।