সরকারের সয়াবিন তেলের দাম কমানোর ঘোষণার ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও তার সুফল বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। বাড়তি দামেই তেল কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। বিক্রেতারা বলছে দাম কমানোর ঘোষণা থাকলেও কোম্পানি থেকে কম দামের তেল সরবরাহ করা হয়নি। তাই তারা আগের দামেই তেল বিক্রি করছেন।
চলতি জুনের ১১ তারিখ বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৮৯, খোলা সয়াবিন তেল ১৬৭ টাকা, পাম অয়েলের দাম ১৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়। তবে এ দাম কবে থেকে কার্যকর হবে সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোন নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
রাজধানীর কারওয়ানবাজার , রামপুরা, হাতিরপুল, টাউনহল, কাটাসুরের বাজার গুলো ঘুরে দেখা গেছে: আগের দামে বিক্রি হচ্ছে ভোজ্য তেল। যেসব তেল বিক্রি হচ্ছে, সেগুলোর মোড়কে আগের দামই রয়েছে। বোতলজাত সয়াবিন লিটারপ্রতি ১৯৯ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল লিটারপ্রতি ১৭৬ টাকা, পাম সুপার খোলা সয়াবিন তেল লিটারপ্রতি ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৯৬০ টাকা।
ব্যববসায়ীরা বলছেন: নতুন দামের সয়াবিন তেল বাজারে আসতে আরও কয়েক দিন লাগবে। তারা কম দামের তেল পেলে অবশ্যই কম দামে বিক্রি করবেন।
মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারের মুদি দোকানি রহমত আলী বলেন: দাম বাড়লে কোম্পানিগুলো সঙ্গে সঙ্গে বাড়তি রেটে অর্ডার কাটতে শুরু করে। কিন্তু কমলে দিতে চায় না। তখন সাপ্লাই কম এটা সেটা বলে।
কাটাসুর বাজারে পরিবারের জন্য বাজার করতে এসেছেন আহমদ রইস। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন: দাম কমিয়েছে কাগজে-কলমে, বাস্তবে তো দেখছি না। বাজারে কোন মনিটরিং নেই। খুচরা বাজারে মাঝে মধ্যে তাদের দেখা গেলেও যারা সাপ্লাইয়ার বড় কোম্পানি এবং তাদের ডিলার, পাইকাররা কি করছে সেটা কে দেখছে?
হাতিরপুল বাজারের আবু আব্দুল্লাহ শাফি অভিযোগ করেন: তেলের দাম বাড়ার ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে দাম বেড়ে যায়। কিন্তু দাম কমলে সেটা আর পাওয়া যায় না।
এর আগে, রোববার ১১ জুন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ জানান: প্যাকেটজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটার প্রতি ১০ টাকা কমে ১৮৯ টাকা এবং পাম তেলের দাম লিটারে ২ টাকা কমে ১৩৩ টাকা করা হয়েছে।