কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন (কুসিক) এর মেয়র পদে উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ভোটের শুরুতেই বিভিন্ন কেন্দ্রে এজেন্টের ঢুকতে না দেওয়া এবং পথে পথে ভোটারদের বাধা দেওয়া ও মারধরের অভিযোগ করেছেন ২ মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু এবং নূর রহমান মাহমুদ তানিম।
শনিবার ৯ মার্চ সকাল থেকে শুরু হওয়া ভোট কোনো বিরতি ছাড়াই চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সকাল থেকেই ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছেন। তবে শুরুর দিকে ভোটার উপস্থিতি অনেকটাই কম দেখা গেছে ।
ভোট সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে।
হাতি প্রতীকের মেয়র প্রার্থী তানিম বলেন, মহানগর আওয়ামী লীগ সমর্থিত বাস প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকরা ভোটারদেরকে কেন্দ্রে আসতে বাধা দিচ্ছেন। কুমিল্লা হাই স্কুল, ছোটরা মালাইকা মমতাজ আজি আকরাম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ও দিশাবন্দসহ বিভিন্ন স্থানে দুর্বৃত্তরা ভোটারদের বাধা প্রদান করছে। এছাড়াও আমার এজেন্টদেরকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে।
একই অভিযোগ করেন মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু। তিনি বলেন, ৫ নম্বর ওয়ার্ড, ৬ নম্বর ওয়ার্ড, ২২ নম্বর ওয়ার্ড ও ২ নম্বর ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন স্থানে পথে পথে ভোটারদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা সিটিতে মোট ভোটার রয়েছেন দু’লাখ ৪২ হাজার ৪৫৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ১৮হাজার ১৮২ জন এবং নারী ভোটার এক লাখ ২৪ হাজার ২৭৪ জন। এছাড়াও হিজড়া ভোটার রয়েছে দু’জন। ১০৫টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে স্থায়ী ভোট কক্ষ ৬১৬টি এবং অস্থায়ী ভোট কক্ষ রয়েছে ২৪টি।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হচ্ছেন- সাবেক দু’বারের মেয়র ও বিএনপির সাবেক নেতা মনিরুল হক সাক্কু (টেবিল ঘড়ি প্রতীক), মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাহসীন বাহার সূচনা (বাস প্রতীক), মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম (হাতি প্রতীক) এবং মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক নেতা নিজাম উদ্দিন কায়সার (ঘোড়া প্রতীক)।