চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ইংলিশদের যত চিন্তা খেলার বাইরের বিষয়ে

ইংলিশ ডিফেন্ডার কনোর কোডি যেন প্রচণ্ড বিরক্ত! মুখে অনুজ্জ্বল হাসি লেগে থাকলেও সংবাদ সম্মেলনে থাকলেন ঝাঁঝালো। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি কেমন হচ্ছে— জানাতে এসে বলে গেলেন খেলার বাইরের নানা বিষয়েই। ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হ্যারি কেনের কণ্ঠেও শত আপত্তি!

কাতারে বসা বিশ্বযজ্ঞে গরম নিয়ে সবচেয়ে সোচ্চার গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যরা। দোহায় প্রথমদিনের অনুশীলনও ঠিকঠাক করতে পারেননি তারা। সেটির জেরে পরে কোডি সমালোচনা করেছেন স্বাগতিক দেশের। বিশ্বকাপের ভেন্যু, সমকামী ইস্যু এবং শ্রমিক নিয়ে দেশটির মনোভাবকেও একহাত নিয়েছেন।

‘ইংলিশ খেলোয়াড়রা রাজনৈতিক নন’ জানিয়ে কোডি শুনিয়েছেন বিশ্বকাপের নীতিবিরুদ্ধ কথাই। স্বাগতিক কাতারের সমালোচনা করে ‘থ্রি লায়ন্সের’ সেন্টার ব্যাক বলেছেন, ‘যেভাবে দেখছি তা বললে কখনই রাজনীতিবিদ হবো না। গত কয়েক বছরে আমাদের স্কোয়াড যা করেছে, মানুষকে যতটা সাহায্য করেছে, তার প্রেক্ষিতে কাতার নিয়ে কথা আসে।’

মরুভূমির দেশের গরমের কথা চিন্তা করে পিছিয়ে শীতকালে আনা হয়েছে বিশ্বকাপ। তবুও গরমের তিক্ত সমস্যায় পড়ছে শীতনির্ভর দেশগুলো। ইংলিশরা সেখানে প্রথম কোনো দল যারা মধ্যদুপুরের গরম নিয়ে কথা বলেছে চড়া গলায় এবং কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে ভুগছে। অধিনায়ক কেনের থেকে অভিযোগ এসেছে, গরম কমাতে ব্যবস্থা না থাকারও।

ফুটবলের বাইরের ইস্যুতে কথা না বললেও গরমের চোটে দ্রুত অনুশীলন ছাড়তে চেয়েছিলেন কেন, ‘এমন গরমে অনুশীলন করতে চাই না। এটি আগের চেয়েও বেশি গরম। আমার ফোন দেখাচ্ছে এখানে তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অবাক বিষয় হচ্ছে, আমাদের ঠাণ্ডা হওয়ার বাড়তি কোনো সুবিধাও এখানে নেই।’

বৈশ্বিক আসরের মহাযজ্ঞে অংশ নিতে চলা ৩২ দলকে বেশকিছু বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছে ফিফা। সংস্থাটির সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো অনুরোধ করেছেন ফুটবলে মনোযোগ দিতে। আদর্শগত ও রাজনৈতিক কোনো দ্বন্দ্ব তৈরি করে এমন কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য বলেছেন ফিফা মহাসচিব ফাতেমা সামুওরাও। তবুও ইংল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েলসের মতো দেশগুলো সোচ্চার ফুটবলের বাইরের ইস্যুতেই।

কাতারে চলতি শ্রমিক বঞ্চনা বিতর্কের মাঝেই নির্মাণ শ্রমিকদের অনুশীলন ক্যাম্পে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মার্কিন খেলোয়াড়রা। সোমবার শ্রমিকরা দেখা করেন, ফুটবল খেলেন এবং অটোগ্রাফ-ফটোগ্রাফও সারেন। মার্কিন ফুটবলারদের অনুশীলন দেখতে মাঠে যাবেন সামরিকবাহিনীর সদস্য ও তাদের পরিবারের লোকজনও।