ন্যান্সি পেলোসির সফরের পর জলবায়ুসহ বিভিন্নইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা স্থগিত করেছে চীন। এমনকি মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বেইজিং। চীনের এমন আচরণকে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলেছে হোয়াইট হাউজ। তাইওয়ানের আকাশ এবং জলসীমায় এখনো সামরিক মহড়া চালাচ্ছে চীন।
ন্যান্সি পেলোসির সফরের পর তাইওয়ান-চীন উত্তেজনার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনা স্থগিত করল বেইজিং। জলবায়ু পরিবর্তন, সামরিক আলোচনা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ মোকাবেলার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে এখন কোনো আলোচনাই করবে না চীন।
নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ন্যান্সি পেলোসির সফর তাইওয়ানের সার্বোভৌমত্বের ওপর চ্যালেঞ্জ হিসেবেই মনে করছে চীন। একইসাথে, তার সফর উস্কানিমূলক বলেও উল্লেখ করেছে চীন। পাশাপাশি পেলোসি এবং তার পরিবারের সদস্যদেরওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বেইজিং।
চীনের এমন আচরণকে একবারেই দায়িত্বজ্ঞানহীন বলেছে হোয়াইট হাউস। তবে, স্বার্থ এবং মূল্যবোধ রক্ষা করার পাশাপাশি বেইজিংয়ের সাথে আলোচনার পথ খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি।
তিনি বলেন, তাইওয়ান সফরে যেতে ন্যান্সি পেলোসির অবশ্যই অধিকার রয়েছে। কিন্তু, এই প্রেক্ষাপটে চীন যা করছে তা সত্যিই দায়িত্বজ্ঞানহীন। যুক্তরাষ্ট্র সবসময়ই ওই অঞ্চলের মূল্যবোধকে সম্মান করে। আমরা আশা করি চীনও তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে আলোচনায় সম্মত হবে।
অন্যদিকে ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের নিন্দা জানিয়েছেন বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। আন্তর্জাতিক কনভেনশন এবং আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সম্মানবোধ নেই বলেও মনে করেন তারা।
পেলোসির সফরের পর থেকেই তাইওয়ান প্রণালী এবং দেশটির আকাশসীমায় চীনের সামরিক মহড়া চলছেই। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চীনের ৬৮টি যুদ্ধবিমান ও ১৩টি জাহাজ সামরিক মহড়ায় রয়েছে। কিন্তু, চীনের দাবি, ১শ’ ১০টির বেশি যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমান মহড়ায় অংশ নিচ্ছে। চীনের সামরিক মহড়ার কারণে বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন্স কোম্পানি তাইওয়ানে নিজেদের উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ করেছে ।