
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে খাবারের দোকানে কথা কাটাকাটি জের ধরে শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক দুই গ্রুপ ফের সংঘর্ষে জড়িয়েছে। বুধবার ৩১ জুলাই রাতের ঘটনার পর বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে পুনরায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয় তারা।
পরে বিকেল পৌনে চারটার দিকে প্রক্টরিয়াল বডি অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাবের সহায়তায় সংঘর্ষকারীদের হলে ফিরে যেতে বাধ্য করে।
এ ঘটনায় সিএফসি গ্রুপের কর্মী রমজান গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রক্টর নুরুল আজিম সিকদার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরও জানান, ‘প্রাথমিকভাবে আলোচনার চেষ্টা করেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। তাই অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি ১৫ জন র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।’

চবি মেডিকেল সেন্টারের চিফ মেডিকেল অফিসার আবু তৈয়ব চ্যানেল আই অনলাইনকে জানান, ‘এ পর্যন্ত ১০ থেকে ১২ জন আহত শিক্ষার্থীরা চিকিৎসা নিতে এসেছেন। তা ছাড়াও দু’জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের চমেকে পাঠানো হয়েছে।’
এর আগে বুধবার ৩১ মে রাত ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয় শাহ আমানত হলের সামনের খাবারের দোকানে শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় সিক্সটিনাইনের কর্মীরা শাহজালাল হল এবং সিএফসি এর কর্মীরা শাহ আমানত হলের সামনে অবস্থান করে প্রতিপক্ষের দিকে ইট পাটকেল ছোঁড়ে। পরে রাত সাড়ে ১১ টায় প্রক্টরিয়াল বডি পুলিশের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।