মাদক ব্যবসার মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের বিষয় তদন্ত করতে গিয়ে টেকনাফের সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির দুই ভাই আমিনুর রহমান ও আব্দুর শুক্কুরের সংশ্লিষ্টতার তথ্য পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ বুধবার সিআইডি সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া।
তিনি বলেন, মাদক মামলার মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে টেকনাফের সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির দুই ভাই আমিনুর রহমান ও আব্দুর শুক্কুরের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছি। এখন পর্যন্ত আমরা ওই পরিবারের অবৈধভাবে অর্জিত ৬.৯ একর সম্পত্তি শনাক্ত করেছি, আরও সম্পত্তির সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়টি এখনও তদন্তাধীন রয়েছে। এছাড়া ১০ জন মাদক গডফাদারের মাদক ব্যবসায় অর্জিত ১৭৮কোটি টাকার সম্পদ জব্দ ও ফ্রিজ করা হয়েছে।
বদির বিরুদ্ধেও যদি আমরা সাক্ষ্য-প্রমাণ পাই তাহলে ছাড় দেয়া হবে না। যার বিরুদ্ধেই তথ্য-প্রমাণ পাবো তাকেই ধরা হবে বলেও জানান তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে মাদকের সকল গডফাদারকে আইনের আওতায় আনা হবে। মাদক ব্যবসায় যারা অবৈধভাবে সম্পদ ও অর্থবিত্তের মালিক হয়েছে তাদের অবৈধ সম্পদ আইনী প্রক্রিয়ায় সরকারী কোষাগারে চলে যাবে।