ছিলেন না একাদশে, সৌম্য সরকারের কনকাশন সাব হিসেবে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে ঝলক দেখাচ্ছেন তানজিদ হাসান তামিম। হঠাৎ কুড়িয়ে পাওয়া সুযোগে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নিয়েছেন তরুণ ওপেনার।
১৫.১ ওভারে ৫১ বলে ফিফটি পূর্ণ করেছেন তামিম। ৬ চার ও ২টি ছক্কায় সাজানো ছিল তার ইনিংস।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সোমবার সকালে টসে জিতে আগে ব্যাটে নামে শ্রীলঙ্কা। স্রোতের বিপরীতে ছুটে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি তুলে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ২৩৫ রানের মাঝারি পুঁজি এনে দিয়েছেন জানিথ লিয়ানেগে।
জবাবে নেমে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৬ ওভার শেষে ২ উইকেটে ৭৮ রান তুলেছে বাংলাদেশ। তানজিদ তামিম ৫২ বলে ৫১ রানে এবং তাওহীদ হৃদয় ১৭ বলে ১৩ রানে ক্রিজে আছেন।
ওপেনিংয়ে নেমে টাইগারদের উড়ন্ত শুরু এনে দেন তামিম। রান তোলায় কিছুটা মন্থর ছিলেন এনামুল হক বিজয়। উদ্বোধনী জুটিতে ৫০ রান তোলেন দুজনে। নবম ওভারের দ্বিতীয় বলে লাহিরু কুমারার শিকার হন বিজয়। ২২ বলে ১২ রান করে যান।
ব্যর্থ হয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ১১তম ওভারে কুমারার দ্বিতীয় শিকার হন তিনি। ৫ বলে ১ রান করেন টাইগার অধিনায়ক।
এর আগে শ্রীলঙ্কার ইনিংসের ৪৯তম ওভারের শেষ বলে আঘাত পান সৌম্য সরকার। শরিফুল ইসলামের বলে জানিথ লিয়ানেগের শটে বল ডিপ মিডউইকেট দিয়ে যাচ্ছিল বাউন্ডারির দিকে। ফিল্ডিংয়ে সেই দিকে ছিলেন সৌম্য। অনেকটা দৌড়ে এসে চার ঠেকানোর চেষ্টায় বাউন্ডারির বাইরে বাজেভাবে পড়ে যান টাইগার ওপেনার।
তখন মাঠে কিছুটা চিকিৎসা নিয়ে ফিজিওর সাথে খোঁড়াতে খোঁড়াতে ফিল্ডিং ছেড়ে যান সৌম্য। সেই চোট তাকে ব্যাট করতে দিলো না। তার কনকাশন সাব হিসেবে এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে ওপেন করতে নামেন তানজিদ তামিম।
ডাচ বাংলা ব্যাংক বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা ওয়ানডে সিরিজে ১-১এ সমতায় দুদল। সিরিজের শেষ ম্যাচটি রূপ নিয়েছে অঘোষিত ফাইনালে।