চীন-ফ্রান্স সম্পর্কের পূর্ণতা দিতে ফ্রান্সের কাছে নতুন প্রস্তাব দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর ভারত সফরের কয়েকদিন পর চীনের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব দেয়া হয়।
চীন এবং ফ্রান্সের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৬০তম বার্ষিকীর এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ভারত সফরে পালন করেন। চীনের বিষয়ে ম্যাক্রোঁ বলেন, আজকের বিশ্ব যখন আবারও এক সংকটময় মোড়ে দাঁড়িয়ে আছে, তখন চীন ও ফ্রান্সের উচিত যৌথভাবে শান্তি, নিরাপত্তা, সমৃদ্ধি এবং মানব উন্নয়নের জন্য অগ্রগতির পথ খোলা।
এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর বার্তার জবাবে শি জিনপিং বলেন, চীন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নকে গুরুত্ব দেয় এবং কূটনৈতিক সম্পর্কের ৬০ তম বার্ষিকী উপলক্ষে মৌলিক নীতিগুলিকে সমুন্নত রেখে এবং আগের অর্জনের উপর ভিত্তি করে একটি নতুন উন্মুক্ত সুযোগ হিসাবে ফ্রান্সের সাথে চীন কাজ করতে চায়।
এই বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, চীন ফ্রান্সে তাদের আমদানি বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা ভোক্তা এবং বিনিয়োগ বাজারের চাহিদা অনুযায়ী ফ্রান্স থেকে উচ্চ-মানের পণ্য এবং পরিষেবাগুলোর বাড়াবো। তিনি বলেন, আমরা আশা করছি ফ্রান্সও চীনের সাথে বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহী।
গত ২৬ জানুয়ারি ভারতের নয়াদিল্লিতে ৭৫তম প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন হিসেবে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। চীন ম্যাক্রোঁর ভারত সফরে সতর্ক দৃষ্টি রেখেই নতুন প্রস্তাব দিয়েছে বলে মনে করছেন কূটনৈতিকরা।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে ম্যাক্রোঁর আলোচনার পর, দুই দেশ ভারত মহাসাগর এবং ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সহযোগিতা জোরদার করার পাশাপাশি সামরিক প্রতিরক্ষা শিল্প উন্মোচন করেছে, যা চীনের উদ্বেগের একটি প্রধান কারণ।